বাল্যবিয়ে রুখতে গিয়ে আহতের ঘটনার দু’দিনেও মামলা হয়নি
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:২১
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় নিজের বাল্যবিয়ে রুখতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর মামলা দু’দিনেও রেকর্ড করেনি ওসি। মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাওয়ার পরে আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দীপিকা রানী সেন।
বাল্যবিয়েতে রাজি না হওয়ায় গত ২৪ এপ্রিল (সোমবার) রাতে তার কাকা বিপুল, রনি ও কাকী অনিতা রানী মিলে স্কুলছাত্রী নীলিমা, তার মা ও বোনকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। গত ২৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বিকেলে নীলিমা কর বাবি হয়ে থানায় মারধরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরে ২৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেল পর্যন্ত গত দু’দিনেও মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের নিপুল করের মেয়ে ও বারপাইকা স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী নিলীমা করকে তার অমতে তার কাকা একই বাড়ির বিপুল কর, রনি কর ও বিপুলের স্ত্রী কাকী অনিতা কর জোরপূর্বক একই উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত আদিত্য সরকারের ছেলে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক অমল সরকারের সাথে ২৭ এপ্রিল বাল্যবিয়ের দিন ধার্য করে।
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় নীলিমাকে মারধর করার সময় বাঁধা দিতে গেলে মা ও ছোট বোন স্কুল ছাত্রী ঈশিতাকেও মারধর করে আহত করে কাকি ও দুই কাকা। ওই রাতেই আহত নিলীমা, তার মা অনিতা ও বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জানতে চেয়েছেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে। এরপরই ২৬ এপ্রিল (বুধবার) বিকেলে আহত শিক্ষার্থী ও তার পরিবারকে হাসপাতালে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দীপিকা রানী সেন।