লাশ শনাক্ত করতে মর্জিনার বাবা সিলেটে
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০১৭, ১৭:৪৭
সিলেটে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে নিহত নারী জঙ্গি মর্জিনা নিজের মেয়ে কি না, তা শনাক্তে বান্দরবান থেকে সিলেটে পৌঁছেছেন মর্জিনা আক্তারের বাবা আব্দুর রহমান।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, বুধবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে আব্দুর রহমানের সঙ্গে তার ছেলেও এসেছেন।
তিনি বলেন, “জাতীয় পরিচয়পত্রের সুত্র ধরেই তারা সিলেট এসেছেন। তাদের মরদেহ দেখানো হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের জন্য তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।”
তিনি জানান, উদ্ধার করা লাশটি পুড়ে যাওয়ায় তা চেনা মুশকিল। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ওই নারীর দৈর্ঘ্য আনুমানিক চার ফুট। তার সম্পূর্ণ দেহ পোড়া এবং বাইরে থেকে কঙ্কাল দৃশ্যমাণ।
এদিকে আতিয়া মহল থেকে দুটি লাশ উদ্ধারের কাজ এখনও শুরু হয়নি। লাশ দুটিতে সুইসাইড ভেস্ট বাঁধা বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্য আসার পরই উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা জেদান বলেন, “ভবনের ভেতরে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক থাকায় ভবনটি এখনও ঝুঁকিপুর্ণ।”
সিআইডি ও পিবিআই ক্রাইস সিন দেখবে ও আলামত সংগ্রহ করবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, আতিয়া মহলে যে ফ্ল্যাটে আস্তানা গেঁড়েছিল জঙ্গিরা, তিন মাস আগে তা ভাড়া নেওয়ার সময় যে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল, তাতে নারীর নাম ছিল মর্জিনা আক্তার। তার স্বামীর নাম দেয়া হয় কায়ছার আলী যিনি প্রাণ গ্রুপের কর্মকর্তা বলে জানানো হয়।
মঙ্গলবার বিকালে চার দিনের অভিযান শেষে সেনাবাহিনী ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে। পরে পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় ভবনটি।
এই অপারেশনে নিহত চারজনের মধ্যে একমাত্র নারীটি মর্জিনা বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। গত শুক্রবার শিববাড়ির আতিয়া মহল ঘিরে ফেরার পর পুলিশ মর্জিনা সম্বোধন করে মাইকে কথা বললে ভেতর থেকে সাড়া মিলেছিল।
২৭ মার্চ, সোমবার কমান্ডো অভিযানে নিহত ওই নারীর লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের হিমঘরে রয়েছে।