তিন জঙ্গির প্রাণভিক্ষার আবেদন
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০১৭, ০০:৫৯
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলরাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন। এর আগে প্রাণভিক্ষা চান প্রধান আসামি জঙ্গিনেতা ‘মুফতি’ আবদুল হান্নান ও দেলোয়ার হোসেন রিপন।
এ নিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন জঙ্গিই প্রাণভিক্ষা চাইলেন। এর মধ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা ‘মুফতি’ হান্নান ও বিপুলের প্রাণভিক্ষার আবেদন দু’টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা বিপুলের আবেদনটি ইতোমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, ২৭ মার্চ (সোমবার) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ‘মুফতি’ আব্দুল হান্নান লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন। আর শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল প্রাণভিক্ষা চান সন্ধ্যা সাতটার দিকে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির বরাবরে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
অন্যদিকে সিলেট সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া জানান, দুপুরের পর রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন পাওয়ার পর বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির বরাবর পাঠানো হয়েছে।
গত ২২ মার্চ রিভিউ খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয় ‘মুফতি’ হান্নান ও বিপুলকে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানতে চাইলে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন বলে জানান। একইদিন সন্ধ্যায় তাদের দু’জনের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে এসে পৌছালে সেটিও পড়ে শোনানো হয়।
অন্যদিকে একইদিন রিভিউ খারিজের রায় পড়ে শোনানো হয় রিপনকেও। ওইদিন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি-না জানতে চাওয়া হলে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান তিনি। পরদিন ২৩ মার্চ আইনজীবীর মাধ্যমেই প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাবেন বলে জানান রিপন। তিনিও শুনেছেন নিজের মৃত্যু পরোয়ানা।
এজন্য তিনজনেরই হাতে কাগজ-কলম তুলে দেন কারা কর্তৃপক্ষ।
সিলেটের জেল সুপার ছগির মিয়া বলেন, রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে ৩ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না। সরকারের সিদ্ধান্তে যেকোনো সময় তাদের ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।