নির্যাতিত ভারতীয় কিশোরী পার্বতীপুর হাসপাতালে
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০১৭, ০০:২৫
পার্বতীপুরে প্রতারণামূলক বিয়ের ফাঁদে পড়ে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা এক কিশোরী কথিত স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার নবম শ্রেণির ছাত্রী রেজিনা আহম্মেদ (১৭) ভারতের আসাম প্রদেশের সুনিতপুর জেলার তেজপুর এলাকার মহা ভৈরব থানার গুটলং বিতোসুতি গ্রামের পিকআপ ড্রাইভার আব্দুর রশিদ ও মাজেদা বেগমের কন্যা।
পার্বতীপুর শহরের রোস্তম নগর মহল্লার সুজন শেখের পুত্র সাগর শেখ (২৮) অবৈধভাবে ভারতে থাকাকালীন মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। তিনমাস ঘর সংসার করার পর কলকাতায় নিজ বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে মেয়েটিকে নিয়ে আসা হয় দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর শহরে। এখানে প্রায় দু’মাস ধরে মেয়েটি অবস্থান করছে। এসময় তাকে প্রায়ই অমানুষিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
গত মঙ্গলবারও ওই কিশোরীকে নির্মমভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। নির্যাতিত হয়ে তিনি পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাগর শেখ ও লোকজন দিয়ে ওই কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত হলে তারা পালিয়ে যায়।
রেজিনা জানাল, সাগর শেখ কলকাতার বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অবৈধপথে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। কিছুদিন পর লোকমুখে শুনে সে জানতে পারে যে, সে যেখানে অবস্থান করছে এটা আসলে বাংলাদেশ।
বর্তমানে সে প্রশাসন ও থানা পুলিশের আশ্রয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন রোজিনা।
পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মোস্তাক হোসেন জানান, মেয়েটির পিতা মাতা আসলে তাকে তার নিজ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এএইচএম বোরহান উল ইসলাম জানান, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেজিনার পিতা মাতা ভারত থেকে না আসা পর্যন্ত তাকে এখানে নিরাপত্তা হেফাজত হিসেবে রাখা হবে।