মিতু হত্যা: তদন্তে পুলিশের ৫ কমিটি
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০১৬, ১৬:৩৯
চট্টগ্রামে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা তদন্তে পাঁচটি কমিটি করেছে পুলিশ। মোট ৩৫ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে এসব কমিটিতে চারজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এবং একজন সহকারী কমিশনারকে প্রধান করা হয়েছে।
রবিবার নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মোক্তার আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরদিনই এই সব কমিটি করা হলেও তা প্রকাশ করা হয়নি। সিএমপির ‘দক্ষ’ কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ, সিডিআর পর্যালোচনা, ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে এসব কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্তের জন্য এসব কমিটি করা হলেও খুনিদের ধরতে মহানগর পুলিশের সব সদস্য কাজ করছেন বলেও জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “তদন্তের পাঁচটি কমিটির তদারকির দায়িত্ব আমাকে এবং সার্বিক তদারকির দায়িত্ব অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য্যকে দেওয়া হয়েছে”।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) নাজমুল হাসানকে প্রধান করে অভিযান পরিচালনা কমিটি, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর-দক্ষিণ) হুমায়ুন কবিরকে প্রধান করে জিজ্ঞাসাবাদ এবং সহকারী কমিশনার (আইসিটি) জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও নগর পুলিশের উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনানকে প্রধান করে তথ্য সংগ্রহ এবং দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে প্রধান করে সিডিআর পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তথ্য সংগ্রহ কমিটিতে নয়জন, ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা কমিটিতে পাঁচজন এবং অন্য কমিটিগুলোতে সাতজন করে সদস্য রাখা হয়েছে। এসব কমিটিত বিভিন্ন থানার ওসিদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের সদস্যদেরও রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে নগরীর জিইসি মোড়ে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। চট্টগ্রামে জঙ্গিদমনে ভূমিকা রাখা বাবুলের স্ত্রীকে জঙ্গিরাই হত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
হত্যায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও কারা কেন এ হত্যা করেছে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।