মিতু হত্যাকাণ্ড: মামলার অগ্রগতি ঢিমেতালে
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০১৬, ১৩:১৮
এখনো পর্যন্ত এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যাকাণ্ডের কোনো কুলকিনারা খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মামলার অগ্রগতি চলছে ঢিমেতালে। জড়িত সন্দেহে দুইজন আটক হলেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বুধবার (০৮ জুন) রাতে অভিযান চালিয়ে সেই কালো মাইক্রোবাসটি জব্দ করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় মাইক্রোবাসের চালককেও আটক করা হয়। এর আগে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আবু নসুর নামে এক সাবেক শিবিরকর্মীকেও আটক করা হয়।
সিএমপির কমিশনার ইকবাল বাহার এ বিষয়ে বলেন, মিতু হত্যায় গুন্নুর সম্পৃক্ততা বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাকে রিমান্ডে আনা হবে। এছাড়া জব্দ হওয়া মাইক্রোবাসটি এবং চালক কি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে কি না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, হত্যা মামলা রহস্যজটে রয়েছে বেশ কিছু প্রশ্ন। এর উত্তর পেলেই উন্মোচিত হবে আলোচিত এ হত্যা মামলার রহস্যজট।
সিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, কোন জঙ্গি সংগঠন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত, কারা মিতুর মোবাইলে এসএমএস দিয়েছিল, তার ব্যবহার করা মোবাইলের বর্তমান অবস্থান কোথায়, কিলিং মিশনে কজন অংশ নিয়েছিল—এ চার প্রশ্নের উত্তর পেলেই জানা যাবে আসল রহস্য।
প্রসঙ্গত, রবিবার (০৫ জুন) সকালে নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। পুলিশের ধারণা, বাবুল আক্তারের জঙ্গিবিরোধী তৎপরতার কারণে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হন তাঁর স্ত্রী মিতু। মামলা তদন্তের মূল দায়িত্বে আছে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তবে র্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই) তদন্তে সহায়তা করছে।