চিকিৎসাধীন সাঁওতালদের হাতকড়া খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:২৯
পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাঁওতালদের কোমর থেকে দড়ি ও হাতকড়া খুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চে সোমবার এই আদেশ দেয়।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার, রংপুরের ডিআইজি ও গাইবান্ধার পুলিশ সুপারকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রতিবেদন আকারে হাই কোর্টে জমা দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় হাতকড়া পরিয়ে রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহা পরিদর্শক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, রংপুরের ডিআইজি, গাইবান্ধার পুলিশ সুপারসহ পাঁচজনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও সাঁওতালদের সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে তিন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেকে। ওই ঘটনায় আহত তিন তিন সাঁওতালকে হাসপাতালে হাতকড়া পরিয়ে রাখার খবর রবিবার সংবাদ মাধ্যমে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলিতে আহত চরণ সরেন ও বিমল কিসকোকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং দ্বিজেন টুডুকে ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশি পাহারা থাকার পরও কোমরে দড়ি ও হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছে তিনজনকেই।
চিনিকলকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে আহত তিন সাঁওতালকে কোমরে দড়ি বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার খবর গণমাধ্যমে আসার পর হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এ বিষয়ে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন রিট আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আদালতে তিনি নিজেই শুনানি করেন। বিপরীতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
সাঁওতালদের উপর গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।