কুড়িগ্রামে গৃহকর্মী অগ্নিদগ্ধ, গৃহকর্তা-কর্ত্রী পলাতক
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:৩৫
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2016/10/24/image-3421.jpg)
কুড়িগ্রাম শহরে এক সরকারি কর্মচারীর গৃহকর্মী মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকালে সদর উপজেলার গাড়িয়াল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ রেবা খাতুন (২২) রাজারহাট উপজেলার সুলতান বাহাদুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহাবের মেয়ে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রেবা
তবে ঘটনার পর থেকে গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রী পলাতক রয়েছেন। তাদের নিজ বাড়িও একই এলাকায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি আব্দুস সোবহান জানান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী ওয়ারেছ আলীর বাসায় ২০০৫ সাল থেকে গৃহকর্মী হিসেবে রয়েছেন তার (ওয়ারেছ) ভাতিজি রেবা খাতুন।
ওসি বলেন, সকালে ওয়ারেছ আলী অফিসে গেলে তার স্ত্রী বাড়ির গেটে তালা দিয়ে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যান। এর কিছুক্ষণ পর রেবা খাতুনের আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন ও গেটের তালা ভেঙে রেবাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন।
পরে তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
ওসি বলেন, এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীর নির্যাতনের ফলে রেবা খাতুন আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারে। তবে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাই তদন্ত করা ছাড়া কোনো মন্তব্য করা যাবে না।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাধায়ক ডা. অজয় কুমার রায় বলেন, রেবা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক। তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। হাসপাতালে বার্ন ইউনিট না থাকায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।