আফসানার মৃত্যুকে ঘিরে কিছু প্রশ্ন
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০১৬, ২৩:৩৯
মিরপুর সাইক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী আফসানা ফেরদৌসের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ধারনা করা হচ্ছে, ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল খায়ের মোঃ সফিউজ্জামান এর এমন বক্তব্যের পর একে নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন আফসানারই এক আত্মীয় মুজতবা আহমেদ মুরশেদ।
ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে মুজতবা লিখেন, "একজন নারী নিজের বাসায় আত্মহত্যা না করে, অন্য বাসায় গিয়ে আত্মহত্যা করে - এমন আজব কথা জোক অব দ্যা সেনচুরি!"
আফসানার মৃত্যু যদি আত্মহত্যাই হয় তবে তা নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন মুজতবা মুরশেদ। তিনি প্রশ্ন করেন,
১. কোনো মানুষ নিজের বাসা ছেড়ে অন্যের বাসায় গিয়ে আত্মহত্যা কি করে? আত্মহত্যার মুহূর্তে সে মানুষটির যে মানসিক অবস্থা থাকে, তাতে করে সে অন্য বাসায় গিয়ে এমন কাজ করতেই পারে না।
২. আত্মহত্যার লাশ পুলিশ ছাড়া কারো ধরার কথা নয়। অথচ আফসানার লাশ মিরপুরের আল হেলাল হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়েছে দুজন যুবক। কারা তারা? তারা আফসানার লাশ কোথায় পেলো?
৩. আফসানা আত্মহত্যা করলে, তার মুখে ফাঁস লাগানোর কোনো বিকৃতি নেই কেন? জিহ্বা বেরিয়ে থাকা, চোখ কোটর থেকে রেরিয়ে থাকা, গলায় দড়ির গভীর ক্ষত নাই কেন?
৪. আফসানার বাসার বাড়িওওয়ালার বক্তব্য অনুয়াযী হাবিবুর রহমান রবিন, যে কিনা তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, স্বামী -স্ত্রী ত্হিসেবে বসবাস করতো । অথচ আফসানার মৃত্যুর পর সে পলাতক। কিন্তু কেনো? তার স্ত্রীর জন্যে মায়া নাই, খুবিই রহস্যজনক, - নয় কি?
৫. আফসানা আত্মহত্যাই যদি করে, তবে অচেনা সেলফোন নম্বর থেকে পরিবারের সদস্যদের রবিনের বন্ধু পরিচয় দিয়ে কেনো হুমকি দেয়া হচ্ছে বাড়াবাড়ি না করার জন্য?
তার এই প্রশ্নগুলো ইতোমধ্যেই আলোড়িত করেছে অনেককে। ফেসবুকে অনেকেই এই পোস্ট শেয়ার করে মন্তব্য করেছেন আফসানা হত্যাকাণ্ডের মূল হত্যাকারীদের বাঁচাতেই এমন বক্তব্য দেয়া হচ্ছে।
‘আত্মহত্যা’র দাবি প্রত্যাখ্যান করে আফসানার ভাই ফজলে রাব্বী বলেন, "আমরা হতভম্ভ। এলাকাবাসী যখন বলছে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনতে পেয়েছে তখন কীভাবে ময়নাতদন্তে এটা আত্মহত্যা বলা হলো? আমি বিশ্বাস করি না আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর তার বন্ধু হাবিবুর রহমান রবিন যে আচরণ করেছে এবং সমঝোতার চেষ্টা করেছে সেটার পর আত্মহত্যা ভাবার কোনও কারণ দেখি না"।