কেউ জানেনা কোথায় আফসানার মৃত্যু হয়
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০১৬, ১২:৪৩
পলিটেকনিকের ছাত্রী ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী আফসানা ফেরদৌসের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে কেউ তেমন কিছু বলতে পারছেন না। কোন বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সেটিও কেউ নিশ্চিত নন। পুলিশও বিষয়টি সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হয়নি।
এদিকে আফসানার মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৯ আগস্ট শুক্রবার বিক্ষোভ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন।
এছাড়া শুক্রবার পর্যন্ত হত্যা মামলা হয়নি। এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান ওরফে রবিনকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
১২ আগস্ট আফসানার লাশ মিরপুরের আল-হেলাল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান দুই যুবক। আফসানার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে। রাজধানীর মানিকদীতে একটি বাসায় থেকে শেওড়াপাড়ার বেসরকারি সাইক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্থাপত্য বিভাগে পড়তেন তিনি।
মানিকদী বাজার এলাকার চারতলা একটি ভবনের নিচতলার একটি ঘরে দুই বছর ধরে থাকতেন আফসানা। তবে ওই ঘরেই, নাকি অন্য কোথাও তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তাঁর প্রতিবেশীরা।
বাড়িটির মালিকের এক আত্মীয়া জানান, আফসানা প্রথমে এই এলাকায় এসে একটি টিনশেড ঘরে উঠেছিলেন। এরপর সামনের একটি বাড়ির শিশুদের প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন।
আট মাস পরে মেয়েটি যে বাড়িতে পড়াতেন, সে বাড়ির নিচতলার একটি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। মাঝেমাঝে আফসানা পাশের সবুজ ছাতা গলির একটি বাসায় যেতো। তবে মেয়েটি কোথায় মারা গেলেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, ‘বিষয়টা আমরা বুঝতে পারছি না। পত্রিকায় জানলাম, বিকেলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এলাকার কেউ তাঁকে বাসা থেকে নিতে দেখেনি।’
স্থানীয় একজন দোকানদার বলেন, ‘ওই দিন সবুজ ছাতা গলির একটি বাসা থেকে বাঁচাও বাঁচাও শব্দ শুনেছেন তিনি। নারী কণ্ঠের, না পুরুষ কণ্ঠের চিৎকার ছিল তা খেয়াল করেননি’।
মেয়েটি কোন বাসায় মারা গেছেন, জানতে চাইলে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে এখনো কাজ করছি। এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশ তদন্ত করছে।’
প্রধান সন্দেহভাজন তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রবিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।