‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০১৯, ১১:৫০
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৬ আগস্ট (শুক্রবার) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্মরণসভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতা বলেছিলেন, প্রয়োজনে বুকের রক্ত দেব। আর সেই রক্তই তিনি দিয়ে গেছেন। আর আমাদের সেই রক্তঋণ শোধ করতে হবে তার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশকে গড়ে তুলে জাতির পিতা যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই চরম আঘাতটা আসে। অথচ তিনি বেঁচে থাকলে অথবা আর ৩/৪টা বছর বেঁচে থাকলেই বাঙালি জাতিকে একটা মর্যাদার আসনে নিয়ে আসতেন। বাংলাদেশ বিশ্বে অনেক আগেই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারত।
জাতির পিতা নেই কিন্তু তাঁর আদর্শ রয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শ আমাদের মাঝে আছে। সেই আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। দেশের কল্যাণের মাধ্যমেই আমরা জাতির পিতার রক্তঋণ শোধ করব।’
দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব হারিয়ে পেয়েছিলাম এদেশের লাখো মানুষ, যারা আমাকে আপন করে নিয়েছে। আর আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা-কর্মী, মুজিব আদর্শের সৈনিক—তারাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। সেখানেই পেয়েছি বাবা-মা-ভাইয়ের ভালোবাসা। এটাই আমার সব থেকে বড় শক্তি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আজ সারা বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থেকে প্রশ্ন করে এত দ্রুত কীভাবে একটা দেশ উন্নত হতে পারে?’‘উন্নয়নের জন্য স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে সরকারের পক্ষে থাকতে হয়। যারা পরাজিত শক্তির দোসর, তারা যদি ক্ষমতায় থাকে, তাহলে কোনো জাতি এগোয় না, কোনো জাতিই উন্নতি করতে পারে না।’
দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, আবদুল মতিন খসরু, দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সভায় বক্তৃতা করেন।
দলের কেন্দ্রীয় নেতা মেরিনা জামান অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন।