বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে রোহিঙ্গা তরুণীদের পাচারের চেষ্টা
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০১৯, ২২:৫৬
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের বাসিন্দা ১১ রোহিঙ্গা তরুণীকে মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা করার সময় কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। ২৫ জুন (মঙ্গলবার) ভোরে টেকনাফে যে তিন ব্যক্তি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তাদের মধ্যে দুজন এই পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ১১ তরুণীসহ ১৫ রোহিঙ্গাকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর উদ্দেশ্যে টেকনাফ নিয়ে আসে দালালচক্র। সোমবার রাতে পুলিশ এসব রোহিঙ্গাদের আটক করে। তারপর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ মঙ্গলবার ভোররাতে টেকনাফ সমুদ্র উপকূলের নৌকাঘাটে মানবপাচারকারীদের ধরতে অভিযান চালালে পুলিশের সঙ্গে তাদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে তিন মানবপাচারকারী নিহত হন।
আটক রোহিঙ্গারা বলেন, গত ১৯ জুন বিকেলে কুরবান আলী (বন্দুকযুদ্ধে নিহত) তিনটি টমটমে করে বালুখালী থেকে ১৫ রোহিঙ্গাকে টেকনাফে আনে। রাতে তাদের টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়ায় কুরবান আলীর শ্যালক আবদুর রহমানের (বন্দুকযুদ্ধে নিহত) বাড়িতে রাখা হয়। দুই দিন পর রাতে তাদের টমটমে করে নেওয়া হয় পাহাড়ের জঙ্গলে আবদুল হাকিমের বাড়িতে। সেখানে মালয়েশিয়া পাঠানোর ট্রলার ভাড়া বাবদ মাথাপিছু ৬ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৯০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। ২৪ জুন (সোমবার) তাদের ট্রলারে তুলে দেওয়ার কথা বলে পাহাড়ের জঙ্গল থেকে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ এলাকায় আনা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ১১ তরুণীসহ আটক ১৫ রোহিঙ্গাকে বুধবার কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।