বখাটে থেকে বাঁচতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার
প্রকাশ : ০৩ মে ২০১৯, ১৪:৫৩
বখাটের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির মালিকের কাছে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। কিন্তু নিরাপদ আশ্রয়ের পরিবর্তে উলটো বাড়িওয়ালার সহযোগিতায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১ মে (বুধবার) দিবাগত রাতে পাবনার ঈশ্বরদীতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন বাড়ির মালিক আবদুল আজিত (৪৮) ও মো. সাকিব ইসলাম (২৮)। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল আজিত ও সাকিব পরিকল্পিতভাবে গৃহবধূকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ঐ গৃহবধূর স্বামী সৌদিপ্রবাসী। মেয়ের বিয়ে দিয়ে ছেলেকে নিয়ে মাসখানেক আগে আবদুল আজিতের দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার পর থেকে বখাটে সাকিব বিভিন্ন সময় তাকে উত্ত্যক্ত করতো। গত ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর থেকে সাকিব মুঠোফোনে ও ঘরের জানালা দিয়ে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এতে ভয় পেয়ে আত্মরক্ষার্থে বাড়ির মালিক আবদুল আজিতের শরণাপন্ন হন তিনি। আজিত তাকে অভয় দিয়ে তাকে বাড়ির বাইরে আসতে বলেন। কিন্তু বাইরে এলে আজিত ও তার সহযোগী সাকিব কাপড় দিয়ে তার মুখ বেঁধে বাড়ির পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে দেখে নেবেন বলে হুমকিও দেন বাড়ির মালিক।
ওই গৃহবধূ জানান, সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে রাতেই তিনি তার ভাইকে সব খুলে বলেন। এরপর বুধবার রাতে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ঈশ্বরদী থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তিনি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে আবদুল আজিত ও সাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়। সেদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে বাঘইল ঠাকুরপাড়ার বাড়ি থেকে আজিত ও সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।