শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা

অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেছেন স্টুডেন্ট জার্নাল বিডির (অনলাইন পত্রিকা) সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান। ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। 

আদালতে বাদী তার জবানবন্দিতে বলেন, গত ২৪ এপ্রিল বিকেল ৪:৩০ এর সময় জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থিত জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাদীসহ বিভিন্ন মিডিয়াকর্মী, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেলিব্রেটি উপস্থিত ছিলেন, সে সময় বিবাদী ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের দু’টি স্মার্টফোন খোয়া গেছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় তিনি সাংবাদিককদের ‘চোর’ বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাদের আটক করে রেখে দেহ তল্লাশি করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন যা উপস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের ক্যামেরায় ধারণ করা হয় এবং সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর মাধ্যমে জাতির কাছে সাংবাদিকদের কটাক্ষ করা হয়েছে। 

বাদী আরো উল্লেখ করেন, ঘটনার পর গত ২৭ এপ্রিল ওই বিষয় নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা না নেওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। 

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে প্রায় অর্ধশত ফটো ও ভিডিও ক্যামেরা এবং শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতেই শমী কায়সারের দু’টি স্মার্টফোন চুরি যায়। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। শমীর নিরাপত্তাকর্মী সবার দেহ তল্লাশি করতে চাইলে তাতে উপস্থিত সংবাদকর্মীরা সম্মতি জানান। এসময় কেউ কেউ তল্লাশিসাপেক্ষে বের হয়ে যেতে চাইলে সেই নিরাপত্তাকর্মী সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে ওঠেন। এতে উপস্থিত সাংবাদিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডাও হয়।

পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দু’টি নিয়ে গেছেন। 

এরপর সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে অনিচ্ছাকৃত ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধান অতিথি আসার আগেই অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।