মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ ও ভিডিও, গ্রেপ্তার ২
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০১৯, ১৪:৫৮
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ১১ মার্চ (সোমবার) আবদুর রব সেরনিয়াবাদ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট কলেজের তিনজন শিক্ষার্থীকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ঐ ছাত্রীর মা। আসামিদের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে তিনজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ পশ্চিম শাওড়া গ্রাম থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তবে মূল আসামি পলাতক। ঐ কিশোরীকে ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভিকটিমের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গৌরনদী পৌর সদরের উত্তর বিজয়পুর মহল্লায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন অভিযুক্ত ঐ তিন ছাত্র। তাদের ভাড়া বাসার সামনে দিয়েই মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করতো ঐ কিশোরী। এসময় ঐ তিন ছাত্রের একজন তাকে উত্ত্যক্ত করতো। গত জানুয়ারির মাঝামাঝি ঐ ছাত্রটি মাদ্রাসাছাত্রীর পথ রোধ করে তার মোবাইল ছিনিয়ে নেন ও তার নম্বর নিয়ে নেন। এরপর থেকে প্রায়ই ফোন করে তাকে বিরক্ত করতেন ঐ ছাত্র। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ঐ ছাত্র ফোন করে ভিকটিমকে জানায় তার জ্বর এবং ঐ কিশোরী যেন ওষুধ নিয়ে তাদের মেসে আসেন। ওষুধ নিয়ে মেয়েটি মেসে গেলে মেসের দরজা বন্ধ করে ঐ তিন ছাত্র তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করেন। তাদের কথামতো না চললে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
এরপর সেই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে গত ১১ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি আরও দুইবার ঐ কিশোরীকে ধর্ষণ করেন উত্ত্যক্তকারী ছাত্রটি। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্তরা ঐ বাসা ছেড়ে গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম শাওড়া গ্রামে আরেকটি বাসায় ভাড়া নিয়ে চলে যান। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ভিকটিমের পরিবার বিচার চাইলে তারা থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন।