আপন জুয়েলার্সের মালিকের বিরুদ্ধে পুত্রবধূর মামলা

গর্ভপাতের চেষ্টা, নির্যাতন, হত্যার হুমকি- এসব অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমসহ দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেছেন রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি ও আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। মামলার অপর আসামি হলেন আপন রিয়েল এস্টেটের পরামর্শক মো. মোখলেছুর রহমান।

পিয়াসা ১১ মার্চ (সোমবার) চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।

বাদী তার অভিযোগে বলেন, ২০১৫ সালে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহম্মেদ সেলিমের ছেলে সাফাতের সঙ্গে তার বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর দিলদার তার উপর নির্যাতন করে আসছেন। স্বামীর অনেক অনৈতিক কাজে তিনি বাধা দিলেও শ্বশুর উল্টো উৎসাহিত করতেন এবং সহযোগিতা করতেন। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের বহুল আলোচিত ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি হন সাফাত আহমেদ। কয়েক মাস কারাগারে থাকার পর গত বছরের ৩১ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান সাফাত। তবে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সাফাতের জামিন বাতিল করে তাকে ফের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মো. খাদেম উল কায়েস। বর্তমানে পিয়াসা দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছেন দিলদার আহম্মেদ ও মোখলেছুর রহমান। 

পিয়াসা তার অভিযোগে আরো বলেন, গত ৫ মার্চ বাসায় ফেরার পর আসামিরা তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করে ও গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে তার তলপেটে লাথি মারার চেষ্টা করেন এবং স্বর্ণালঙ্কর, নগদ অর্থ রেখে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেন। 

উল্লেখ্য, বাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহম্মেদ গাজী, অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার ও অ্যাডভোকেট সানোয়ার হক টিপু মামলা পরিচালনা করেন। মামলা দায়েরের পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জাল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। নথি পর্যালোচনা করে আদালত পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।