ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে লুটিয়ে পড়লেন দিয়াজের মা
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:১৮
২০১৬ সালে খুন হন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী। সেই থেকে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে যাচ্ছেন মা জাহেদা আমিন চৌধুরী। কিন্তু সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনিরে ছেলে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলমগীর টিপুর ছবি দেখে আর শান্ত থাকতে পারেননি তিনি। স্যুভেনির হাতেই ছুটে গিয়েছেন মাঠে। কাঁদতে কাঁদতেই মাঠেই লুটিয়ে পড়েছেন তিনি। ৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এমন দৃশ্য দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জাহেদা নিজেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হলের কর্মচারী। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আর সবার মতো তিনিও মাঠে এসেছিলেন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনিরে দিয়াজ হত্যার প্রধান আসামি আলমগীর টিপুর ছবিসংবলিত শুভেচ্ছাবাণী ছাপা হয়। এটা দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি জাহেদা। তিনি সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কাছে এর কারণ জানতে চান। কিন্তু কোন সদুত্তর না পেয়ে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদতে কাঁদতে নিজেই মাঠে লুটিয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
তবে এসব তথ্য অস্বীকার করে সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, "ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সমিতির সদস্যদের জন্য বানানো জার্সিতে জাহেদা আমিন চৌধুরীর ডাকনাম লেখা হয়। এ কারণে তিনি অভিযোগ দিয়েছিলেন। স্যুভেনির নিয়ে কোনো কথা হয়নি"।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই দফা ময়নাতদন্তের পর দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছিল মর্মে নিশ্চিত হওয়া যায়। ওই বছরের ২৪ নভেম্বর জাহেদা আমিন বাদী হয়ে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু, সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।
বর্তমানে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।