এবার ঝালকাঠিতেও ধর্ষকের গুলিবিদ্ধ লাশ

রাজধানীর সাভারের পর এবার ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় মিললো আরেক ধর্ষণ মামলার আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ। গণধর্ষণ মামলার আসামি সজল জোমাদ্দার নামে ঐ যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহের বুকে ঝোলানো লেমিনেটিং করা একটি কাগজে লেখা ছিল "আমার নাম সজল, আমি...... এর ধর্ষক। ইহাই আমার পরিণতি"। 

২৬ জানুয়ারি (শনিবার) দুপুরে উপজেলার বলতলা গ্রামের একটি মাঠ থেকে সজলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সজল পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের আবুল হোসেন জোমাদ্দারের ছেলে। 

লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সার্কেল) মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ভাণ্ডারিয়া থানার এসআই তারিকুল জানান, শনিবার দুপুরে স্থানীয়দের খবর পেয়ে সজলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার কানের পাশে একটি ক্ষত চিহ্ন দেখা গেছে। তার মাথায় গুলি করা হয়েছে। তার গলায় সুতা দিয়ে ঝুলানো একটি চিরকুটে লেখা ছিল: ‘আমার নাম সজল…মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করার কারণে আমার এই পরিণতি’। নিহতের চাচা লাশ শনাক্ত করেছেন। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।” 

উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি সজলের বিরুদ্ধে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামে বাড়ি থেকে পাশের হেতালিয়া গ্রামে নানাবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে পানের বরজে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ঐ ছাত্রীর বাবা ভাণ্ডারিয়া থানায় সজলসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর থেকে উভয় আসামি পালাতক ছিলেন বলে জানান ভাণ্ডারিয়া থানার এসআই তারিকুল।