বাংলাদেশে #মি_টু: লিখিত অভিযোগ দিলেন সীমন্তি
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:৫৪
গত ২৯ অক্টোবর #মি_টু আন্দোলনে স্বনামধন্য একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। প্রিয়তির পর #মি_টু আন্দোলনে সাহসী উচ্চারণ করলেন সীমন্তি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন হয়রানির অভিযোগকে এবার লিখিতভাবে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে জানালেন শুচিস্মিতা সীমন্তি। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
৫ নভেম্বর (সোমবার) ঐ বেসরকারি টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করার পর মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, মেয়েটির আনা অভিযোগের ব্যাপারে তারা তদন্ত করবে।’মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের সঙ্গে এসময় এক্টিভিস্ট খুশী কবির এবং সাংবাদিক নাসিমুন আরা হক মিনু ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, টেলিভিশনটির কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এ ধরনের অভিযোগের ব্যাপারে তারা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ মি_টু লিখে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন শুচিস্মিতা সীমন্তি। সেখানে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংবাদ পাঠকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন তিনি। প্রায় ১১ বছর আগে সেসময় ১৬ বছর বয়সী সীমন্তি কীভাবে তার পারিবারিক বন্ধুর মাধ্যমে নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন এবং এখনও যে গভীর ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন, সে বিষয়ে উল্লেখ করেন তিনি।
শুচিস্মিতা সীমন্তির স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
So here is my #MeToo,
This guy, P.S., is a well-known face in Bangladeshi Media. I can see that I have about 70 friends in mutual with him. 11 years ago, he sexually harassed me. I was only 16 years old at that time…… He was close to my family and harrassed me on several occasions by touching me inappropriately……….I was completely devastated during my high school years because of him. I have lived with this pain for decades , and it has left a permanent scar in my heart. I hope families will be able to provide a safe space for their children so that they can share if they are abused.
I hate you P.S.! And I will never ever forgive you!