কথা রাখলেন না সেই চিংড়ী জামাই

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৪৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

বিবাহ অনুষ্ঠানে খেতে বসে চিংড়ি না পেয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটানো সেই জামাই শেষ পর্যন্ত সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা রাখলেন না।

৫ অক্টোবর (শুক্রবার) ৩ লক্ষ টাকা মেয়ের ব্যাংক একাউন্টে প্রদান করে মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে তুলে নেয়ার কথা ছিল। টাকা দিয়ে মেয়ে নিয়ে যাওয়ায় আপত্তি জানাচ্ছেন তারা।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সদরের আনোয়ারা উপজেলার ১১নং জুইদন্ডী ইউনিয়নের ৮নং খুরসকুল গ্রামের হাজী বাড়ীর আবদুল মোনাফের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীর (৩০) ওরফে চিংড়ি জামাই। প্রায় চার মাস আগে পাশের জুইদণ্ডি গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের কন্যাকে বিয়ে করেন ঐ চিংড়ী জামাই।

২৯ সেপ্টেম্বর ওই উপজেলার বটতলী আলভী ম্যারেজ গার্ডেনে নামের এক কমিউনিটি সেন্টারে প্রীতিভোজের আয়োজন ছিল। বরের টেবিলে মুরগীর রোস্ট, খোরমাসহ নানা উপাদেয় আইটেম দেওয়া হলেও চিংড়ি না দেওয়ায় বর ক্ষিপ্ত হয় উচ্ছৃঙ্খলতা সৃষ্টি করেন। এরপর মেয়েকে আর জামাইয়ের হাতে তুলে দেননি মোহাম্মদ হোসেন। 

দুই পক্ষ একটি সমাধান আনার জন্য ১ অক্টোবর বরুমছড়া চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও বটতলী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম.এ মন্নান নিয়ে সালিশি বৈঠকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। ৫ অক্টোবর শুক্রবার মেয়ের ব্যাংক একাউন্টে টাকা প্রদান করে শুক্রবার মেয়ে ঘরে তুলে নিয়ে যাবে। এছাড়া আগের কাবিননামা অনুযাযী ৭ লাখ টাকা দেনমোহর ও স্বর্ণালংকার বাবদ ৮০ হাজার টাকা উসুলের সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। বিবাহ অনুষ্ঠানে বর আলমগির খারাপ আচরণ করায় মেয়ের বাবা আর আত্মীয়স্বজন থেকে মাফ চান এবং ভবিষ্যতে এরকম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ আর করবেন না বলে জানান।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত কথা রাখেননি বরপক্ষ। সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মেনে এমনিতে বউ তুলে নিতে চাইছেন তারা। গত ৫ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কেউই কন্যা তুলে নিতে আসেননি।

কনের বাবার জানান, বউ তুলে নিতে আসেনি কেউ। একদিন আগে বরের বাবা ফোনে বলেছিলেন, এমনিতে (ফ্রিতে) দিলে তারা বউ নিতে আসবেন। তবে দণ্ডগুণে নেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই আমিও সাফ বলে দিয়েছি, নিতে হলে রায়ের আলোকেই নিতে হবে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত