সাতক্ষীরায় যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৪৪

জাগরণীয়া ডেস্ক

সাতক্ষীরায় যৌতুক না পেয়ে শাহানারা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন ও পরে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত শাহানারা এনায়েতপুর শানতলা গ্রামের জলিল সরদারের মেয়ে এবং সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন উত্তর শার্শা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আসাদুল গাজীর স্ত্রী।

১৬ সেপ্টেম্বর (রবিবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।

এনায়েতপুর শানতলা গ্রামের হোসনে আরা খাতুন জানান,  ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে শাহানারার সঙ্গে উত্তর শার্শা গ্রামের অমেদ গাজীর ছেলে আসাদুলের বিয়ে হয়। এছাড়া সোনার গহনাসহ পরবর্তীতে জমি বন্দক রাখার জন্য ৪০ হাজার টাকা ও শাহানারাকে একটি মোবাইল দেয়া হয়। বিয়ের পরপরই বড় ভাই আজাহারুলের সঙ্গে আসাদুল মালয়েশিয়ায় চলে যায়। এরপর আসাদুলের পরিবারের সদস্যরা শাহানারাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। মোবাইলে এসব আসাদুলকে জানালেও সে কর্ণপাত করেনি, উলটো হুমকি দিতো।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে প্রতিবেশীরা জানান, শাহানারার শাশুড়ি চন্দনা বিবি, বড় ননদের স্বামী চৌরাস্তার নূর হোসেন, চাচা শ্বশুর তাকে নির্যাতনের পর গলায় দড়ি দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেছেন। খবর পেয়ে শাহানারাকে উদ্ধার করে রাতেই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহাবুবর রহমান জানান, শাহানারার থুতনিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না।

পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখানো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত