৬৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সমর্থন দিয়েছে: আইআরআই
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৩৩
দেশের ৬৬ শতাংশ নাগরিক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন ও আস্থা প্রকাশ করেছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)।
৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বাসসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
ঐ সংস্থার এক জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে দেশের ৬৪ শতাংশ নাগরিক। ৬২ শতাংশ নাগরিক মনে করেন অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় দেশ সঠিক পথে আছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ৬৯ শতাংশ নাগরিক।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ২১ মের মধ্যে দেশজুড়ে এ জরিপ পরিচালিত হয়।
এদিকে গত ৩০ আগস্ট প্রকাশিত আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইনসাইট অ্যান্ড সার্ভের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৮ শতাংশ নাগরিক জননিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে ৫৭ শতাংশ মনে করছেন, সামনে জননিরাপত্তা ব্যবস্থার আরো উন্নতি হবে।
জরিপের ফলাফলে বলা হয়, সরকারি বিভিন্ন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও জন সন্তুষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। জনস্বাস্থ্য খাতে সরকারি সেবায় সন্তুষ্ট ৬৭ শতাংশ মানুষ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৬৪ শতাংশ নাগরিক। এ ছাড়া সড়ক ও ব্রিজের উন্নয়নের প্রভাব নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৬১ শতাংশ নাগরিক।
দেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক আবহ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৫১ শতাংশ নাগরিক। পার্লামেন্টের কার্যক্রমের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ফলাফল অনুযায়ী, নাগরিকদের কাছে ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ৮১ শতাংশ জানান, আগামী নির্বাচনে তারা ভোট দেবেন। এর মধ্যে ৫১ শতাংশ মত দিয়েছেন দেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক আবহের পক্ষে।
বাসসের খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলের ১০ তারিখ থেকে ২১ মে পর্যন্ত এই পরিসংখ্যান চালানো হয়। সেখানে দেশের মোট জনসংখ্যাকে কিছু স্তরে ভাগ করে কয়েকটি পর্বে বাছাই করা হয় (মাল্টি স্টেজ স্ট্রেটিফাইড প্রবাবিলিটি স্যাম্পল)।
পাশাপাশি তাদের সঙ্গে সরাসরি অথবা বাসায় (ইন পারসন/ইন হোম) ফোন করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষণার জন্য স্তরগুলো দেশের বিভাগ ও জেলা এবং গ্রাম ও শহর হিসেবে ভাগ করে নেওয়া হয়। এ গবেষণার জন্য ৫ হাজার মানুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়; যাদের বয়স ১৮ বা তার বেশি এবং আগামী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার রাখেন।