‘সংলাপ চলছে, কিন্তু কার্যত কোন কাজ করছে না মিয়ানমার’
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০১৮, ১২:৪৪
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, তবে নেপিডো এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর রয়েছে- বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ১৫ জুলাই (রবিবার) প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে সফররত রবার্ট এফ কেনেডি হিউমান রাইটস অ্যাডভোকেসী অরগানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
তিনি জানান, বৈঠকে তারা মূলত রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েই আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই সংকটের সমাধান চাই বলে মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপ চালাচ্ছি, কিন্তু মিয়ানমার সব কিছুতে রাজী থাকলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা কোন কিছুই করছে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বিরাট বোঝা। সাধারণ মানুষ তাদের চাষাবাদের জমি, গাছপালা, বনভূমি হারিয়ে ক্ষতির সন্মুখীন হলেও তারা স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণও এমন দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং তাদেরকে পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে আরো ভালো অবস্থায় বসবাস করতে পারে সেজন্য সরকার নতুন জায়গার ব্যবস্থা করছে।
কেরি কেনেডি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, রোহিঙ্গা জনগণের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করাই হচ্ছে তার বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যও পরিদর্শন করেছেন, কিন্তু সেখানে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কোন অবকাঠামো বা কোন আশ্রয়ের ব্যবস্থা দেখেননি। মিয়ানমার প্রত্যাবর্তনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাদের নিরাপত্তা দেয়া এবং তাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাজ করা উচিৎ।
কেরি বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী (এসএসএন) কর্মসূচি ও নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, এসব উদ্যোগ ব্যতিক্রমধর্মী।
প্রধানমন্ত্রীর কন্যা এবং বিশিষ্ট অটিজমকর্মী সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাসস