মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে প্রয়োজন জনসচেতনতা
প্রকাশ : ২৭ মে ২০১৮, ১৯:৪২
মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমাতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমানোর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা, প্রসবপূর্ব, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী মানসম্মত সেবা এবং প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ।
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে ২৭ মে (রবিবার) এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
‘কমাতে হলে মাতৃমৃত্যু হার, মিডওয়াইফ পাশে থাকা একান্ত দরকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে আগামী ২৮মে দেশব্যাপী ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ পালিত হবে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন,এটি প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে ২৮ মে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। মা ও শিশু মৃত্যুহার কমানোর জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নতুন নতুন হাসপাতাল স্থাপন, হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ, দক্ষ জনবল তৈরি এবং গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন,বর্তমানে সারাদেশে ১৩ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য, পরিবারকল্যাণ ও পুষ্টিসেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য হারে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ তৈরির শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন,টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোলমডেল এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,স্বাস্থ্যখাতের আরো উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মা ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাক - এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আবদুল হামিদ নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সূত্র: বাসস