নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস
জাতীয় উন্নয়নে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা অপরিহার্য : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৭ মে ২০১৮, ১৯:৩০
জাতীয় উন্নয়নে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা অপরিহার্য। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গর্ভবতী মা ও নবজাতকের মানসম্মত পরিচর্যা এবং রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৮ মে (সোমবার) ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ উপলক্ষে দেয়া রবিবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য প্রতি ৬ হাজার জনগণের জন্য ১টি করে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।’
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কমাতে হলে মাতৃমৃত্যু হার, মিডওয়াইফ পাশে থাকা একান্ত দরকার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ২৮ মে বাংলাদেশে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
তিনি বলেন, নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত এবং মাতৃমৃত্যু হ্রাসে মিডওয়াইফগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য মিডওয়াইফারি শিক্ষা ও সার্ভিসকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে আসছি।
শেখ হাসিনা বলেন, মা ও শিশুর মানসম্মত সেবাদানে ইউনিয়ন সাব-সেন্টার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে আরো নিয়োগ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, উন্নতমানের মাতৃ ও নবজাতকের সেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ, উন্নতমানের সেবা, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের অঙ্গীকার। এ লক্ষ্যে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের অধীনে মিডওয়াইফারি কোর্সসহ ওয়েব বেইজড মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট ও নার্সিং কলেজের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছি। এজন্য ২০১০ সালে জাতিসংঘ আমাদের এসডিজি এওয়ার্ড প্রদান করে। বর্তমানে আমরা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগিয়ে চলেছি। মিডওয়াইফগণ নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত এবং মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসের মাধ্যমে একটি সুস্থ জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সূত্র: বাসস