‘জমির জন্য’ খুন হয়েছিলেন টাঙ্গাইলের সেই দম্পতি
প্রকাশ : ১৮ মে ২০১৮, ২০:০২
সৎ ভাইয়ের সঙ্গে জমির বিরোধে টাঙ্গাইলের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক ও তার স্ত্রীকে হত্যার করা হয়েছিল। এ ঘটনার নয় মাস পর ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৮ মে (শুক্রবার) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন রসুলপুর গ্রামের অব্দুস সালামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩২), মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. ফরহাদ (৪৮), মৃত আমির হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া (৩৩) এবং রসুলপুর শালিনাপাড়ার বাহাজ উদ্দিনের ছেলে মনজুরুল ইসলাম মিনজু (৩৩)।
এসপি সঞ্জিত কুমার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ছয়জন জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
তাদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি জানান, প্রথমে অনিল কুমার দাসকে তারা বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। ওই সময় স্ত্রী কল্পনা রানী ঘটনাটি দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করা হয়। এরপর দুই লাশের গলায় ইটের বস্তা বেঁধে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তদন্ত করা হচ্ছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউর রহমান জানান, গত ১২ মে সন্দেহভজন হিসেবে জাহিদুল ইসলাম ও মো. ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা অনিল কুমার ও কল্পনা রানীকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং পরদিন তারা বিচারিক হাকিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১৪ মে খোকন ও মিঞ্জুকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে রেজাউর জানান। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলে বিচারক রুপম কান্তি দাস তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিহত অনিল কুমার দাসের বৈমাত্রেয় ভাই স্বপন সৌমিত্র বর্তমানে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুরে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানী দাস খুন হন। পরদিন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে তাদের লাশ পাওয়া যায়। ওইদিনই তাদের ছেলে বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।