চামেলীবাগে পুলিশ দম্পতি হত্যা : গৃহকর্মী সুমি খালাস
প্রকাশ : ০৬ মে ২০১৮, ২২:৫৯
রাজধানীর চামেলীবাগে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্ন রহমান হত্যা মামলায় গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
৬ মে (রবিবার) মামলার শুনানি শেষে ঢাকার ১ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু আদালতের বিচারক আল মামুন এ আদেশ দেন।
রায়ের পর এ ব্যাপারে সুমি বলেন, আমি সহযোগিতা করি নাই। আমি নির্দোষ ছিলাম। তারা আরও আগে এ বিচার শেষ করতে পারতো।
ওই হত্যাকাণ্ড যখন ঘটে সুমির বয়স ছিল তখন ১১ বছর। গৃহকর্মী সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মামলার তার অংশের বিচার চলে শিশু আদালতে।
এদিকে মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন মাহফুজুরের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরই ঐ দম্পতির একমাত্র মেয়ে ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করে। ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ঐশী। পরে গ্রেপ্তার করা হয় আরেও দুই আসামি রনি ও জনিকে।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির পরিদর্শক আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুইটি চার্জশিট দাখিল করেন।
এ মামলায় ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ঐশীর চাচা মো. মশিহুর রহমান রুবেলসহ ৪৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
ঐ হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে শিশু আদালতে ২০১৪ সালের ২০ মে অভিযোগ গঠন করে সুমির বিচার শুরু করেন বিচারক।
২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ঐশীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। ২০১৭ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট এ দণ্ড পরিবর্তন করে ঐশীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আর গৃহকর্মী সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার মামলার বিচার চলে শিশু আদালতে। অবশেষে ৬ মে (রবিবার) এ মামলা থেকে সুমিকে খালাস দিলেন আদালত।