‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে অগ্রগতি নেই’
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০১৮, ০৩:১৬
বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব সলিল শেঠি। এসময় প্রধানমন্ত্রী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিবকে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে অবহিত করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে দুদেশের সরকারের মধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে। দুদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের সফরে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমারের কয়েকজন মন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দূরবস্থা দেখে গেছেন। কিন্তু বাস্তবে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বৈঠকে সলিল শেঠি বলেন, তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেছেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রমাণ উপগ্রহের ছবি ও ভিডিও থেকে পেয়েছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই পূর্ণ নিরাপত্তা ও সুরক্ষিতভাবে রোহাঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের পক্ষে এই ব্যাপারে আরো প্রচারণা ও চাপ থাকা উচিত। রোহিঙ্গারা যেন নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সেজন্য তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গার ব্যবস্থাপনা খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, এদেশে আসা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। এপর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তার সরকার রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ নজর রাখছে।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনর্বাসন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সেখানে অস্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করছে।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।