বিউটি ধর্ষণ ও হত্যা, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০১৮, ১৯:৩৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

ধর্ষণের বিচার চেয়ে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্রী বিউটি আক্তারকে পুনরায় ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

২৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূঁইয়াকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা ও সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।

আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা নির্দেশ দিয়েছেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূঁইয়া জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়েই তদন্তের কাজ শুরু করেছি। তদন্তে দেখা হবে এ ব্যাপারে বিউটির পরিবার থানা এবং আদালতে গিয়েছিল কি না। পাশাপাশি পুলিশের কোনো অবহেলা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্তি করেন তিনি।
 
উল্লেখ্য, বখাটে বাবুল মিয়ার উৎপাতে স্কুল ছেড়ে একটি কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিল কিশোরী বিউটি আক্তার। কিন্তু কাজে যাওয়া-আসার পথে তাকে ফের উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা। স্বজনদের অভিযোগ এই হয়রানির অভিযোগ করায় গত ২১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে একমাস আটকে রেখে বিউটি আক্তারকে ‘ধর্ষণ’ করে বাবুল ও তার সহযোগীরা। পরে গত ২১ ফেব্রুয়ারি কৌশলে বিউটিকে তার বাড়িতে রেখে বাবুল পালিয়ে যায়। 

এর এক সপ্তাহ পর গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ইউপি সদস্য কলমচানকে আসামি করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গত ৪ মার্চ আদালত শায়েস্তাগঞ্জ থানাকে এ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। গত ১৬ মার্চ সায়েদ আলী বিউটিকে তার নানার বাড়ি লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে পাঠিয়ে দেন। মামলা করায় ওই দিন রাতেই আবার বিউটিকে তুলে নিয়ে যায় বাবুল। এবার ধর্ষণের পর খুন করে বিউটির লাশ হাওরে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন ১৭ মার্চ সকালে হাওরে বিউটির লাশ পাওয়া যায়। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত