গুলশান-শোলাকিয়ার অস্ত্রের উৎস উদঘাটন
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০১৬, ২৩:২৭
গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার অস্ত্র কোথা থেকে এসেছে, সেই তথ্য উদঘাটনের কথা জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক।
সোমবার মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে মাস্টার্স কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শোলাকিয়া ও গুলশানে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের উৎসের সন্ধান পেয়েছি আর গুলশান হামলার নেপথ্যে কারা তাদের কয়েকজনের পরিচয় জানতে পেরেছি।”
তবে ‘তদন্তের স্বার্থে’ এখনই সেসব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ বাহিনীর প্রধান।
ধনী পরিবারের ছেলেদের বাড়ি পালিয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার খবর আসতে থাকায় তিন দফায় প্রথমে দশজন, এরপর সাতজন এবং সর্বশেষ ২৬১ জন নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করা হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, পুলিশ সদরদপ্তর নিখোঁজদের তালিকা সংগ্রহ করছে, তবে এখনও তা চূড়ান্ত করা হয়নি।
র্যাবের দেওয়া ২৬১ জনের তালিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা নিখোঁজ, তারা সবাই জঙ্গি হওয়ার জন্য নিখোঁজ হয়েছেন তা ঠিক নয়। নিখোঁজ হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে।”
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলায় জঙ্গিরা একে-২২ সেমি অটোমেটিক রাইফেল ও নাইন এমএম পিস্তলের পাশাপাশি হাতে তৈরি গ্রেনেড (আইইডি) ও ছুরি-চাপাতির মত ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঐ হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। পরদিন সকালে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী ৫ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হন। জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩ জনকে।
আর গুলশান হামলার এক সপ্তাহের মাথায় ৭ জুলাই ঈদের সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের মাঠের কাছে ফের হামলা হয়। শোলাকিয়ার হামলাতেও পিস্তলের মত আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি গুলশানের মত একই ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঘটনাস্থলের কাছে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় চায়নিজ কুড়াল ও চাপাতি। ওই হামলায় নিরাপত্তার চৌকিতে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন; পরে পুলিশের অভিযানে গোলাগুলির মধ্যে স্থানীয় এক নারীর মৃত্যু হয়, নিহত হন এক সন্দেহভাজন হামলাকারী।