বাঁচানো যায়নি জোনাকিকে
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০১৮, ১৪:৫৮
পারিবারিক কলহের জের ধরে চার বছরের শিশু জোনাকিসহ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আবুল হোসেন (৩২) নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় আবুল বেঁচে গেলেও, ফেরানো যায়নি জোনাকিকে।
৯ মার্চ (শুক্রবার) সন্ধ্যার দিকে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার টালিভাংগা গ্রামে বিষপানের এ ঘটনা ঘটে। পরে স্বজনরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনলে সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় শিশু সন্তান জোনাকি মারা যায়।
আবুল হোসেনের ভাই রমজান মিয়া জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে ভালোবেসে পাপিয়াকে বিয়ে করেন আবুল হোসেন। মেয়ের পরিবার ধনী হওয়ায় তারা কখনো এ বিয়ে মেনে নেননি এবং প্রায়ই এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ চলতো। ঘটনার এক সপ্তাহ আগে কলহের জেরে বাপের বাড়ি চলে যান পাপিয়া। এক সপ্তাহ পর ফেরত না আসায় আবুল হোসেন তাকে আনতে গেলে পাপিয়ার বাবা সুরুজ মিয়া মেয়েকে আর পাঠাবেন না বলে জানান। এসময় শিশু জোনাকি মায়ের জন্য কান্না শুরু করলে তাকে পাপিয়ার বাপের বাড়িতে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু তারা শিশুটিকে না রেখে বিকেলে আবার পাঠিয়ে দেয় আবুলের কাছে।
এসময় আবুল মেয়ে সহ বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মুমূর্ষ অবস্থায় তাদের স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ঢামেকের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে রাত দশটার দিকে ভর্তি করা হয় বাবা-মেয়েকে। এসময় বাবা বেঁচে গেলেও আধা ঘন্টা পর শিশুটি মারা যায়। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।