১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০১৮, ২৩:২১
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে শিমু আক্তার (১০) নামে এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের পর দা ও বটি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। ৫ মার্চ (সোমবার) দুপুরে এই নির্মম ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শিশু শিমু আক্তার উপজেলার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের হাতিমারা গ্রামের জামাই পাড়ার কৃষক সাইদুল হকের মেয়ে। সে হাতিমারা নূরানী মাদ্রাসার ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন শিমুর বাবা সাইদুল জমিতে ঔষধ দিতে যান। শিমুর বড় বোন তখন স্কুলে ছিল। নিহত শিমু আক্তারের মা রাবু বেগম সেসময় শিমুর ছোট ভাইকে নিয়ে সিলেটে আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। অসুস্থ থাকার কারণে সেদিন শিমু মাদ্রাসায় যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে দুষ্কৃতিকারীরা এসময় শিশু শিমুকে ঘরে একা পেয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীদেরকে চিনে ফেলায় তারা শিশু শিমুকে দা ও বটি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
পরে বাবা সাইদুল ঘরে এসে দেখেন তার মেয়ের রক্তাক্ত মৃত দেহ মাটিতে পড়ে আছে। এসময় সাইদুলের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে শিশুটির গায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্ত লাগানো একটি দা ও বটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করার পর দা ও বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের বাবা সাইদুল বলেন, "আমার মেয়েকে যারা ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করেছে আমি সেই হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই"।
উত্তর হাওলা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান হিরো জানান, ঘটনাটি আসলে খুবই হৃদয় বিদারক। আমি আমার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনের নিকট আবেদন জানাবো, প্রশাসন যেন সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনে। ভিকটিমের পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পায় সেজন্য আমরা এলাকাবাসী প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।