রূপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ১২ ফেব্রুয়ারি
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:৩৫
টাঙ্গাইলে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির রায় আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে।
৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া রায়ের এ দিন ঠিক করে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি একেএম নাছিমুল আক্তার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়ে আইনগত যুক্তি উপস্থাপন করেন। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী আতাউর রহমান আজাদ, আব্দুল করিম ও এস আকবর খান।
অপরদিকে আসামিদের আইনজীবী ফারুক আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন ও শামীম চৌধুরী প্রত্যেক আসামিকে নির্দোষ উল্লেখ করে তাদের বেকসুর খালাস দাবি করে আইনগত যুক্তি তুলে ধরেন। উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারক ১২ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৩ জানুয়ারি মামলার বাদী মধুপুরের অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২৩ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকীর সাক্ষী ও জেরার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়। এ মামলায় চিকিৎসক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট রাতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় রূপার লাশ পাওয়া যায়। ওই দিন বগুড়ায় একটি পরীক্ষা দিয়ে বাসে কর্মস্থল ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে গণধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন তিনি। পরে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে মধুপুর থানা পুলিশ। এরপর গত ১৫ অক্টোবর পাঁচ পরিবহন শ্রমিককে আসামি করে রূপা হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
টাঙ্গাইল আদালত পুলিশের পরির্দশক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। পরে অন্যান্য প্রক্রিয়া হয়।
রূপা যে বাসে আসছিলেন সেই ছোঁয়া পরিবহনের চালক, সুপারভাইজারসহ পাঁচজন গ্রেপ্তারের পর রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
পাঁচ আসামিরা হলো, ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলী এবং হেলপার শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর। এরা সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।