ফরিদপুরে কিশোরী উদ্ধার, অপহরণ চক্রের ৪ জন আটক
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০১৮, ০০:৪৫
![](https://bangla.jagoroniya.com/templates/jagoroniya-v1/images/jagoronia.png)
![](/assets/news_photos/2018/01/19/image-13530.jpg)
ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট হাউজিং এস্টেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে নারী অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। এসময় এক কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
১৭ জানুয়ারি (বুধবার) দুপুর ২টার দিকে এ চার জনকে আটক করা হয়। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে হাউজিং এস্টেটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা করে আসছিল।
আটক চার জন হলো— মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার রামকান্তপুর গ্রামের ইকবাল খানের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৪০), একই এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে রতনা বেগম (২০), হাউজিং এস্টেটের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে সজল মিয়া (২৮) ও ফরিদপুর শহরতলীর ভাজনডাঙ্গা গ্রামের বাবু খানের ছেলে ইকবাল খান (৩০)।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরী গত ২৯ ডিসেম্বর শহরের গোয়ালচামট ২নং সড়কের নিজের বাড়ি থেকে হাউজিং এস্টেটে তার বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে বের হয়। তারপর সে নিখোঁজ হয়ে যায়।
এই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন (কোতয়ালী থানার জিডি নং-১০১ তারিখ ০২/০১/২০১৮)। পরে তারা মেয়েকে উদ্ধারে র্যাবের সহায়তা কামনা করেন।
এরই প্রেক্ষিতে ফরিদপুর র্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে বাহিনীটির একটি দল ১৭ জানুয়ারি (বুধবার) দুপুরে হাউজিং এস্টেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সজল মিয়ার টিনশেড বাড়ির ভেতর হতে কিশোরীকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার কিশোরী জানায়, অভিযুক্ত নাছিমা বেগম এবং বাড়ির মালিক সজল মিয়া তাকে জোরপূর্বক তালাবদ্ধ ঘরে আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় অপহরণপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।