লক্ষ্মীপুরে প্রতারণার ফাঁদে প্রবাসীর স্ত্রী
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০১৭, ১৮:২১
পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের ভয় দেখিয়ে দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে জিম্মি করে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে মঞ্জুরুল ইসলাম নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের পুরান বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। ১৬ আগস্ট (বুধবার) সকালে রামগঞ্জ থানার এসআই ফারুক আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযুক্ত মঞ্জুরুল ইসলাম নোয়াপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সৃষ্ট ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম অওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম, রুবেল, সুজন ও সাফায়েতকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুবাই প্রবাসী আঃ হান্নানের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের কাছে গত ৪ আগস্ট তার স্বামী হান্নান দুবাই থেকে শাহআলম নামের এক ব্যাক্তির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মালামাল পাঠায়। শাহআলম মালামাল দিয়ে চলে যেতে চাইলে বন্ধু হান্নানের অনুরোধে রাতে বাড়িতে থেকে সকালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। খবর পেয়ে রাত ৯টায় পার্শ্ববর্তী পুরান বাড়ির আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম, রুবেল, পারভেজ সহ ১৫/২০ জনের একটি গ্রুপ প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর ঘেরাও করে। একপর্যায়ে ঘরে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে কুমিল্লা থেকে আসা শাহআলমকে বের করে দিতে বলে।
এসময় প্রবাসীর স্ত্রী জানান, উনিতো আমার চাচা শশুরের ঘরে ঘুমিয়েছে। পরে পার্শ্ববর্তী মনিরের ঘর থেকে শাহআলমকে ঘুম থেকে উঠিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়। এসময় তার সাথে থাকা বিদেশী ১২ হাজার দেরহাম, নগদ ১৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
প্রবাসীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের সাথে শাহালাম অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছে অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এক পর্যায়ে নিজের মানসম্মানের কথা চিন্তা করে আনোয়ারা ২৫ হাজার টাকা দেন। বাকী টাকা দিনের বেলায় দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন আনোয়ারা।
প্রবাসীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, রাতের অন্ধকারে নাটক সাজিয়ে আমার ২৫ হাজার ও মেহমানের সাথে থাকা বিদেশী দেরহাম ও নগদ টাকা সহ সর্বমোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, আনোয়ারা বেগমকে আমি বিপদ থেকে উদ্ধার করেছি। নতুবা সন্ত্রাসীরা ওকে মেরে ফেলতো। বিদেশী টাকা আমি নেইনি। শুনেছি ওই টাকা পারভেজ ও সুজনের কাছে থাকতে পারে।
থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক আহম্মেদ জানান, থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। দুই পক্ষকে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।