গৃহকর্মী লাইলীকে হত্যার অভিযোগ: বনশ্রী রণক্ষেত্র

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৫০

জাগরণীয়া ডেস্ক

গৃহকর্মী লাইলী আত্মহত্যা করেননি, বরং তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর ডি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১৪ নম্বরের সাততলা বাড়িটির নিচতলায় গৃহকর্তা মইনউদ্দিনের ভাড়া বাসাটি ঘেরাও করেন তার স্বজন ও এলাকাবাসী। 

৪ আগস্ট (শুক্রবার) ১০টার দিকে বনশ্রীর বি-ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়ির নিচতলার ফ্ল্যাট থেকে লাইলীর মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

তখন উদ্ধারকারী গৃহকর্তা মইনউদ্দিন বলেন, লাইলী নিচতালার বাসায় প্রতিদিন সকালে কাজ করতে আসে। বাসায় এসে একটি রুমের ভিতর দরজা বন্ধ করে দেয়। ডাকাডাকি করলেও দরজা না খুললে বাড়ির ম্যানেজার টিপুকে সংবাদ দেই। তারা ব্যর্থ হলে পরে খিল ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ফ্যানের সাথে ওড়নায় ঝুলন্ত অবস্থায় লাইলীকে নামানো হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল সাড়ে ১০টায় মৃত ঘোষণা করেন।

তবে স্বজনদের দাবি, লাইলীকে হত্যা করা হয়েছে। গৃহকর্তা মইনউদ্দিন একে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

লাইলীর স্বজন শাহনাজ অভিযোগ করে বলেন, ওই বাসায় লাইলী গৃহকর্মীর কাজ করতেন। শুক্রবার সকালে তাকে দারোয়ান দিয়ে ডেকে আনেন মইনউদ্দিন। এর কিছুক্ষণ পর মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই লাইলী মারা যান।

এদিকে এ ঘটনার পরপরই মইন উদ্দিনের বাসার সামনে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। গৃহকর্মী মৃত্যুর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই এলাকায় একটি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, "বনশ্রী এলাকার ওই বাসায় গৃহকর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি"।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহকর্তা মইনউদ্দিন ও বাড়ির দারোয়ানকে থানায় আনা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত