শিক্ষকদের অপমানেই মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০১৭, ১৬:৩৪
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নিজ শেখ সুন্দর দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা আক্তারের আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হচ্ছেন কয়েকজন শিক্ষক।
ফাতেমা আক্তারের আত্মহত্যার আগে লিখে যাওয়া চিঠি ও তার পরিবারের অভিযোগ, শিক্ষকদের অপমান সহ্য করতে না পেরে ফাতেমা আক্তার আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফাতেমার পরিবার।
ফাতেমা আক্তার ওই উপজেলার সাধুরবাজার এলাকার আব্দুল ওয়াহেদের মেয়ে। ২৯ জুলাই (শনিবার) সন্ধ্যায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফাতেমা আক্তারের চাচা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ভাতিজি ফাতেমা আক্তারের সাথে একই মাদ্রাসার ১০ম শ্রেমির ছাত্র জিহাদের প্রেম ছিলো। বিষয়টি প্রকাশ হলে গত শনিবার সকালে জিহাদের বাবা ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল হাই ফাতেমা আক্তারকে অপমান করেন। পরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল রাজ্জাক ও সহকারী শিক্ষক মিনারুল ইসলামও জিহাদ ও ফাতেমাকে নিয়ে শালিস করে। ওই শালিসেও ফাতেমা আক্তারকে অপমান করা হয়। ওই দিন বিকালে ওই দুই শিক্ষক ফাতেমার বাড়িতে এসেও বিচার দিয়ে যায়। এ অপমান সহ্য করতে না পেয়ে আত্মহত্যা করে ফাতেমা আক্তার।
আত্মহত্যার আগে ফাতেমা একটি চিঠি লিখে গেছেন। ওই চিঠিতে এসব কিছুর প্রমাণ মিলে। আমরা এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
নিজ সেখ সুন্দর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল রাজ্জাক বলেন, মাদ্রাসার ছাত্রী ফাতেমা আক্তার আত্মহত্যা করেছে শুনেছি। তবে ওই ছাত্রী ও জিহাদকে নিয়ে মাদ্রাসায় কোন বৈঠক হয়নি। তাদের মাঝে কোনো সর্ম্পক ছিলো কি না তা আমার জানা নেই। আমি ফাতেমার বাড়ি যাই নাই।
এ বিষয়ে জিহাদের বাবা আব্দুল হাই ও অপর সহকারী মিনারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হাতীবান্ধার থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।