হারিয়ে যাচ্ছে বুকের দুধের ট্যাটু

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:৪৫

জাগরণীয়া ডেস্ক

ভালোবাসার মানুষকে আকর্ষণ করতে একসময় মায়ের বুকের দুধ দিয়ে শরীরে ট্যাটু আঁকতেন তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে বসবাসকারী মেয়েরা। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এই রীতি।

আধুনিক সাজ-সজ্জার সরঞ্জামের সহজলভ্যতার পাশপাশি ধর্মীয় নেতাদের ট্যাটু আঁকার প্রতি নিষেধাজ্ঞা এই ট্যাটু হারিয়ে যাওয়ার পিছনে দায়ি বলে মনে করছেন স্থানীয় প্রবীণরা। 

এ ব্যাপারে প্রবীণ ইউসুফোগলু (৮৪) বলেন, কিশোরী বয়সে তিনি একজনকে ভালবাসতেন৷ তার চোখে নিজেকে আরও সুন্দরী করে তুলতে নিজের শরীরে ট্যাটু এঁকেছিলেন তিনি৷ এখনও তা দেখা যাচ্ছে৷ যার জন্য ট্যাটু এঁকেছিলেন তিনিই এখন তার স্বামী৷

৮৭ বছর বয়সী হুলু আয়দোগলু জানালেন, যে মায়েরা মেয়েশিশু পালন করেন শুধু তাদেরই বুকের দুধ নেয়া হতো, কারণ সেই দুধের রং হতো হালকা সবুজ৷ আর ছেলে শিশুদের মায়ের দুধ হত কাল রঙের৷

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে বসবাসকারী মেয়েরা তরুণদের মন পেতে একসময় নিজেদের শরীরে ট্যাটু আঁকতেন৷ এতে ব্যবহৃত হত মায়ের বুকের দুধ৷ তবে দিন দিন তা হারিয়ে যাচ্ছে৷ ট্যাটু আঁকতে মায়ের বুকের দুধের সঙ্গে কাঠের খড়ি ব্যবহৃত চুলায় ব্যবহার হওয়া পাতিলের নীচের ঝুল মেশানো হত৷ এরপর সুচ ফুটিয়ে ট্যাটু আঁকা হত৷

সূত্র: ডযেচেভেলে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত