গুয়াতেমালায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, নিহত ২৫

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০১৮, ১২:১৪

জাগরণীয়া ডেস্ক

ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে গুয়াতেমালায় অন্তত ২৫ জন নিহত ও প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মতে ১৯৭৪ সালের পর দেশটিতে এটিই সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, দেশটির রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের ওই আগ্নেয়গিরিটি থেকে কালো ধোঁয়া ও ছাই উদগীরণ হচ্ছে। 

রাজধানীর একটি অংশ সহ দেশটির চারটি প্রশাসনিক এলাকায় এ ধরনের ছাই ঝরে পড়ছে বলে গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে। এ জন্য বাতাসের দিক পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র। আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে গুয়াতেমালা সিটির লা অরোরা বিমানবন্দর বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ঝরে পড়া ছাই থেকে রক্ষা পেতে নাগরিকদের মুখোশ পরার পরামর্শ দিয়েছেন কর্মকর্তারা। 

গুয়াতেমালার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে তারা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছে এবং লা অরোরা বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আগ্নেয়গিরির ছাই পরিষ্কারে কাজ করছে।

গুয়াতেমালার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (কনরেড) জানিয়েছে, লাভার একটি স্রোত এল রোদেও গ্রামের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে ভিতরে থাকা লোকজনকে দগ্ধ করেছে।

কনরেডের প্রধান সের্হিও কাবানিয়াস স্থানীয় রেডিও স্টেশনকে জানিয়েছেন, "এটি লাভার একটি নদী, এটি উপচে পড়ে এল রোদেও গ্রামকে আক্রান্ত করেছে। এখানে অনেকে আহত হয়েছেন, দগ্ধ হয়েছেন এবং মারা গেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এল রোদেও গ্রামটি লাভার নিচে চাপা পড়েছে আর লাভার কারণে আমরা লা লিবার্তাদ গ্রামেও পৌঁছতে পারছি না, সম্ভবত ওখানেও লোকজন মারা পড়েছে।"। 

এই অগ্ন্যুৎপাতে প্রায় ১৭ ‍লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে গুয়াতেমালা সরকার জানিয়েছে।

গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস জানিয়েছেন, "সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করা হয়েছে। অন্তত তিনটি এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছি আমরা"। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত