‘মিয়ানমারের সহিংসতায় ১ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে’

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৩৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন এক প্রতিনিধি বলেছেন, মিয়ানমারে সহিংসতায় ইতোমধ্যে ১ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগ সংখ্যালঘু মুসলমান, যা সরকারি হিসেবে তুলনায় দ্বিগুণ। তিনি অং সান সুচিকে এ ব্যাপারে নির্ভয়ে খোলামেলা আলোচনা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ প্রতিনিধি ৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ কথা জানান। 

জাতিসংঘ বলেছে, গত ২ সপ্তাহে ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বেসামরিক নাগরিক পালিয়েছে এসেছে। শরণার্থী শিবিরগুলোতে এদের থাকার মতো জায়গাই হচ্ছে না। রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পালিয়ে আসার সময় অনেকেই নিহত হয়। 

এদিকে প্রদক্ষদর্শীরা বলেছে, রোহিঙ্গা জঙ্গিরা গত ২৫ আগস্ট কয়েক দফা সমন্বিত হামলা চালানোর পর থেকে পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এর ফলে সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক মানবাধিকার বিশেষ প্রতিনিধি ইয়াংহি লি বলেছেন, ‘সম্ভবত ইতোমধ্যে ১ হাজার বা তারও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে।’

বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। মিয়ানমার সরকার তাদের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানায়। যদিও তারা দেশটিতে যুগ যুগ ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বসবাস করে আসছে।

বাংলাদেশ সর্বশেষ রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। ইতোমধ্যে সীমান্তে শরণার্থী শিবিরে বাংলাদেশ ৬ লাখ ৭০ হাজার মিয়ানমারের নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে।

জাতিসংঘ বলেছে, রাতভর পালিয়ে আসার কারণে এর আগে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের সংখ্যা গণনা করা হয়নি। এর আগে জাতিসংঘের হিসেবে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৬৪ হাজার। কিন্তু জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত বুধবার অন্তত তিনশ’ নৌকায় করে মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করায় এ সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

নৌকায় সমুদ্র পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় প্রবল স্রোতে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে। এদের বেশির ভাগ শিশু।

সূত্র: বাসস 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত