কমরেড বদরুদ্দীন উমর এবং সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০১৬, ১৮:১৪

ফাহিমা কানিজ লাভা

আমরা একটা ছোট পাঠাগার পরিচালনা করি যেখানে পাঁচ-ছয় বছরের শিশুরাও আসে। তেমনি একটি শিশু রণজিৎ, যার বাবা জুতা সেলাই বা মুচির কাজ করেন। রণজিৎ এবং তার পরিবারের সদস্যরা যেখানে বাস করে সে জায়গাটা বস্তির মতোই। ওই বস্তিরই আরো কিছু শিশু আমাদের পাঠাগারে আসে। একদিন রণজিতের প্রতিবেশি এবং তার সমবয়সী একটি ছেলে বলছিল, ‘আপা, রণজিৎ কেন পাঠাগারে আসে?’ একটু অবাক হয়েই বলেছিলাম, ‘কেন, ও পড়তে আসে!’ এরপর ওই সাত বছর বয়সী শিশুটি যা বলল তাতে আমি সত্যি হতভম্ব হয়েছিলাম : ‘আপা হে ত হিন্দু’। একই ধরনের হতভম্ব করা ঘটনা আরো ঘটেছিল। এই শিশুরা যখন বই বাছাই করে তখন দু-একজনকে বলতে শুনেছি, এটা হিন্দুর বই সুতরাং এ বই সে পড়বে না। কারো কারো পরামর্শ ছিল এসব হিন্দুর বই যাতে আমরা পাঠাগারে না রাখি। এরও আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে পথশিশুদের পড়াতে গিয়েও বাচ্চাদের মুখে হিন্দুদের সম্পর্কে অনেক বাজে মন্তব্য শুনেছি।

শিশুদের মুখে এসব কথাবার্তা শুনে সেগুলো নিয়ে আমরা নিজেরাও কিছু আলাপ-আলোচনা করতাম। সেসব আলোচনার সূত্র ধরে মনে পড়ছে যে শৈশবে আমরাও এমন কিছু কথাবার্তা শুনেছি এবং বলেছিও। লাল পিঁপড়া হল হিন্দু পিঁপড়া, কারণ এসব পিঁপড়া কামড় দেয়। আর কালো পিঁপড়েরা কামড় দেয় না কারণ এরা মুসলমান। রবীন্দ্রনাথ-নজরুলকে নিয়েও কিছু কথা আমরা শুনতাম। যেমন রবীন্দ্রনাথের চাইতে বড় কবি হওয়া সত্ত্বেও নজরুল মুসলিম বলেই নোবেল পুরস্কার পায়নি। এমন কথাও শুনেছি যে, রবীন্দ্রনাথের চক্রান্তেই নজরুল অসুস্থ হয়ে মুক হয়ে গিয়েছিলেন। এসব কথা যে শুধুই শুনতাম ব্যাপারটা তা নয়, হয়ত খানিকটা বিশ্বাসও করতাম সে সময়। আমি নিশ্চিত, পাঠকরাও তাদের স্মৃতি হাতড়ালে এমন ঘটনার অস্তিত্ব খুজেঁ পাবেন। 

সাম্প্রতিক একটি বিতর্কের সূত্রে এসব ঘটনা বেশি করে মনে পড়ছিল। বিতর্কটি শুরু হয়েছে আমাদের দেশের শ্রদ্ধেয় ও প্রবীণ বামপন্থি নেতা, লেখক-গবেষক কমরেড বদরুদ্দীন উমরের একটি লেখার সূত্র ধরে। গত ৫ জুন ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকায় ‘বাংলাদেশে প্রকৃত সংখ্যালঘু কারা?’ শিরোনামে তাঁর একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধটি পড়ে আমি যতটুকু বুঝেছি তাহল, তিনি বলতে চেয়েছেন: 

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা বলতে যা বোঝায় তা নেই। আর তাই বাংলাদেশে ‘সাম্প্রদায়িকতা বা বিশেষভাবে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের কোনো ব্যাপার নেই’।

প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাধারণ হিন্দুরা নয়, এক ধরনের দুর্নীতিবাজ হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত লোকই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষত প্রতিবেশি ভারতের শাসক দল বিজেপি বেশ পরিকল্পিতভাবেই সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

‘সংখ্যালঘু বলতে এখন শুধু হিন্দুদেরই বোঝানো হয়ে থাকে। সংখ্যালঘু সমস্যা বলতে শুধু বোঝায় হিন্দুধর্ম সম্প্রদায়ভুক্ত লোকদের সমস্যা।’ এর বাইরে বাংলাদেশে জাতিগত-ভাষাগত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সমস্যা নিয়ে ততটা উচ্চবাচ্য হয় না।

এর বাইরেও আরো কিছু বিষয় তাঁর লেখায় আছে কিন্তু সেগুলো এখনকার আলোচনায় প্রাসঙ্গিক নয় বলেই মনে হয়েছে। কমরেড বদরুদ্দীন উমর জ্ঞান-অভিজ্ঞতা-সংগ্রামে আমাদের অনেকের থেকে এগিয়ে থাকা মানুষ। দীর্ঘ তাঁর রাজনৈতিক জীবন। সুতরাং তিনি যখন কোনো একটা মত হাজির করেন সেটা নিয়ে ভাবনার অবকাশ থাকে। তারঁ কোনো বক্তব্য পছন্দ না হলেও সে সম্পর্কে চট্-জলদি কোনো সিদ্ধান্ত টানা সত্যিই কঠিন। সুতরাং তাঁর বক্তব্য নিয়ে বিরোধিতা করার আগে এ বিতর্কের মূল প্রশ্নটি সামনে রেখে আলোচনায় অগ্রসর হতে চাই। আমাদের বিবেচনায়, এই বিতর্কের মূল প্রশ্নটি হল : সাম্প্রদায়িকতা কি? বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার অস্তিত্ব আছে কিনা?

‘সাম্প্রদায়িকতা কি?’ - এ প্রশ্নের উত্তর বাংলা উইকিপিডিয়ায় দেয়া আছে কমরেড বদরুদ্দীন উমরকে উদ্ধৃত করে:

‌‍‌“সাম্প্রদায়িকতা বা সাম্প্রদায়িকতা (ইংরেজি: Communalism) হচ্ছে এক ধরনের মনোভাব। কোন ব্যক্তির মনোভাবকে তখনই সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যা দেওয়া হয় যখন সে এক বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ভুক্তির ভিত্তিতে অন্য এক ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং তার অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধচারণ এবং ক্ষতিসাধন করতে প্রস্তুত থাকে।” (উমর, বদরুদ্দীন, সাম্প্রদায়িকতা, মুক্তধারা, ১৯৮০, পৃ: ৯)

এ সংজ্ঞার সঙ্গে একমত হয়েই আমরা প্রশ্ন করতে পারি, এ সংজ্ঞা অনুসারে এদেশে সাম্প্রদায়িক মনোভাবের উপস্থিতি আছে কি নেই? শুরুতে কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া ‘মালাউন’, ‘মালু’, ‘আকাডা’ ইত্যাদি গালিগুলোর প্রচলন সাম্প্রদায়িক মনোভাবেরই জানান দেয়। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ সাম্প্রদায়িকতার এক চরম উদাহরণ। ’৪৬-’৪৭ সালেই শুধু নয়, এর আগে এবং পরে আরো বহুবার সাম্প্রদায়িক সংঘাতে আমরা রক্তাক্ত হয়েছি। খুব সাম্প্রতিক ইতিহাস হল, বাবরি মসজিদ কাণ্ডের পর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামাত জোট বিজয়ী হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন অংশে বিশেষত দক্ষিণাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক আক্রমণের ঘটনা ব্যাপকভাবে ঘটেছে।

কমরেড উমর জোর দিয়ে যে কথাটি বলতে চেয়েছেন তাহল, হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক কোনো নির্যাতনই নাকি বাস্তবে এদেশে হচ্ছে না। বাংলাদেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় সব সম্প্রদায় নির্বিশেষে এমন নির্যাতন চলছে বলে তিনি মনে করছেন। এমন পর্যালোচনায় বিরাট ফাঁক দেখছি। এটা ঠিক যে, দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে এবং কেউ-ই আর এখানে নিরাপদ নেই। কিন্তু এসবের ভেতর সংখ্যালঘুরা আরো হুমকির মুখে আছে। তার প্রমাণ খুঁজতে কিছু পরিসংখ্যানের দিকে চোখ বোলানো যায়। চলতি বছরের (২০১৬) এপ্রিল পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮টি মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর। ২০১৫ সালে হত্যা, ধর্ষণ, প্রতিমা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, ভিটাবাড়ি থেকে উচ্ছেদসহ নানা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২৬২টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এভাবে যদি হিসাব নেয়া যায় তাহলে প্রকৃত সংখ্যার ভয়াবহতা যে কোনো বিবেকবান অনুভূতিসম্পন্ন মানুষেরই চোখে পড়বে।

সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রশাসনের লোকজন সংখ্যালঘুদের জমি দখল থেকে শুরু করে তাদের ওপর হেন কোনো নির্যাতন করতে বাকি রাখছে না। তাদের ওপর নির্যাতন করা সহজ বলেই এমন নির্যাতন বাড়ছে। পাকিস্তানি শাসকদের বানানো সাম্প্রদায়িক হাতিয়ার অর্পিত সম্পত্তি আইনকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীন দেশে আওয়ামী-বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগণের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কুক্ষিগত করেছে। এসব তথ্য কমরেড উমর নিশ্চয়ই জানেন। আমাদের বলবার বিষয় হয়, শাসকরা জনগণের এই সাম্প্রদায়িক চেতনাকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লোটার সুযোগটা ব্যবহার করছে অহরহ। যারা সাম্প্রদায়িকতাকে কাজে লাগিয়ে ‘অন্যদের জমি দখল করছে, ঘরবাড়ি লুটপাট করছে, মানুষের ওপর নির্যাতন করছে’, তারা সবাই ‘সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতকারী’ না হলেো সাম্প্রদায়িকতাকে কাজে লাগিয়েই তারা দুষ্কৃতি করে বেড়াচ্ছে। আবার যখন তাদের প্রয়োজন হবে, তখন তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলেও দুষ্কর্ম করে বেড়াতে কুণ্ঠিত হবে না।

সম্প্রতি এমন অনেক ঘটনাও ঘটছে যেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণকারীদের কোনো হীন ব্যক্তিস্বার্থ বা সম্পত্তি দখল করার কোনো ব্যাপারও ছিল না। ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কিছু লিখেছে, বা কেউ ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করেছে এমন গুজব মাইকে শুনেই জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। নিকৃষ্টতর উদাহরণ রামুর বৌদ্ধ মন্দির পোড়ানো ও নারায়নগঞ্জের শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা। সাম্প্রদায়িক মানসিকতা, বিদ্বেষ সমাজ মননে বিরাজ করছে বলেই মাইকের ঘোষণায় মানুষজন ছুটে আসছে। কেউ তাদের অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে আনেনি।

সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন ব্যাপারটা অনেকটা নারী নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা করা যায়। পুঁজিবাদী সমাজে সব মানুষই বঞ্চনা-নির্যাতনের শিকার হয়, কিন্তু এখানে নারীরা শুধুমাত্র নারী হবার কারণে আরেকদফা বঞ্চনা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ঠিক তেমনি সংখ্যালঘুরাও আরেকদফা বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। দেশে যদি ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত হয় আর ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু, তাহলেও আনুপাতিক হারে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের মাত্রাটাই বেশি। আর সবচেয়ে বড় কথা, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণটা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষকে কাজে লাগিয়ে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় বা মুসলিমদের ওপর আক্রমণের বেলায় এই বিদ্বেষের ব্যাপারটাই থাকছে না। এসব আক্রমণের সময় ধর্ম বিষয়টা কেউ মাথাতেই রাখছে না, সুতরাং সেটাকে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ বলার সুযোগই নেই। কিন্তু আবার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে মুসলিম জনগোষ্ঠীর এক অংশ, সুন্নীরা যখন আহমদীয়া বা কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে হামলা চালায় সেগুলোও কিন্তু সাম্প্রদায়িক হামলারই ঘটনা। একই ধরনের ঘটনা এখন শিয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গেও ঘটছে। কাদিয়ানী বা আহমদীয়া আর শিয়ারা বাঙালি জাতিসত্ত্বার অংশ হওয়ার পরও কিন্তু বাঙালি জাতিসত্ত্বার অপর অংশের দ্বারা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।

কমরেড উমর বলেছেন, ‘দেশে সাঁওতাল, গারো, হাজং, রাখাইন, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, উর্দুভাষী ইত্যাদি জাতিগত সংখ্যালঘুর ওপর যে অবর্ণনীয় নির্যাতন হয়, তার কথা সংবাদপত্রে বা টেলিভিশনে বিশেষ পাওয়া যায় না। অথচ নীরবে তাদের ওপর নির্যাতনের শেষ থাকে না।’ তাঁর এ মতের সাথে ভিন্নমত পোষণ করার কিছু নেই। এসব জনগোষ্ঠির ওপর নির্যাতন হচ্ছে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমগুলোর নীরবতা লজ্জাজনক। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যলঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারটা তো মিথ্যা হয়ে যায় না। ধর্ম, বর্ণ, জাতি, ভাষা কিংবা লিঙ্গভেদে নির্যাতন-নিপীড়ন এদেশে নতুন কোনো বিষয় নয়। 

বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিজেপি সুযোগ নিতে চাইছে, সেটা অবশ্যই সত্য। সেটা এর আগেও কংগ্রেস কিংবা অন্যান্য বুর্জোয়া শাসকরাও নিয়েছে। কিন্তু বিজেপি সুযোগ নিতে চাইছে বলেই এখানে সাম্প্রদায়িকতা থাকে না এমন কথা বলা নিতান্তই বোকামি নয় কি?

বর্তমান আওয়ামী মহাজোট ক্ষমতায় অন্যায়ভাবে টিকে থাকার কাজে ভারতীয় শাসকদের সহযোগীতা নিচ্ছে। ভারতীয় শাসকরাও তাদের নানা স্বার্থে আওয়ামী লীগকে সহযোগীতা করছে। আওয়ামী লীগের এই অন্যায় জবরদস্তির বিরুদ্ধে মানুষের যে ক্ষোভ, তার দায়ভাগ খানিকটা হিন্দু সম্প্রদায়কেও নিতে হচ্ছে। এর পেছনেও কাজ করছে সাম্প্রদায়িক মনোভাব। বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে যে, আওয়ামী লীগ যত অন্যায় করছে বা ভারত যত অন্যায় করছে তার জন্য বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনই দায়ী।

বর্তমান রাজনৈতিক জটিলতায় সাম্প্রদায়কিতা অতীতের যে-কোনো সময়রে তুলনায় জটিল চেহারা নিয়েছে। আশা করি আমরা সবাই সে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করব।

ফাহিমা কানিজ লাভা’র ফেসবুক থেকে
 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত