মিডিয়ায় যৌন ব্যবসায় যুক্ত যে নায়িকারা
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪৮
কিছুদিন আগে সেক্স নেটওয়ার্ক চালানোর অভিযোগে গোয়া থেকে এক অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল ভারতের পুলিশ। তারপর থেকেই যৌন ব্যবসায় নায়িকাদের যুক্ত হবার বিষয়টা ফের আলোচনায় উঠে আসে।
পুলিশ তাঁকে অভিনেত্রী বলে প্রথমটা চিনতেই পারেনি। থানায় নিয়ে যাওয়ার পরে মোবাইলে নিজের ভিডিও ও ওয়ালপেপার দেখিয়ে তিনি নিজের অভিনেত্রী পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করেন। জানা যায়, বর্তমানে একটি নামকরা গোয়েন্দা সিরিয়ালে তিনি অভিনয় করছেন। তাঁর প্রকৃত পরিচয় জানতে পেরে পুলিশ হতবাক হয়ে যায়। পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, অভিনয় করে যা রোজগার করতেন তিনি তা তাঁর শখ আহ্লাদ মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। অতিরিক্ত আয়ের লোভেই তিনি এই সেক্স র্যাকেট চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। এই ধরনের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়।
জেনে নিন তেমন কয়েকজন অভিনেত্রীর কথা, যারা যৌন ব্যবসার কারনে উঠে এসেছিলো আলোচনায় -
সায়রা বানু: ২০১০ সালে সেক্স নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য গ্রেফতার হন তেলেগু সিনেমার অভিনেত্রী সায়রা বানু। হায়দরাবাদের বেগমপত এলাকার স্প্রিংগ হেভেন অ্যাপার্টমেন্টে একটি সেক্স র্যাকেট উচ্ছেদের জন্য যখন পুলিশ হানা দেয় তখন সেখান থেকেই গ্রেপ্তার হন তিনি।
কিন্নেরা: সিনেমায় খুব বেশি কাজ করেননি কিন্নেরা। গোটা দু’য়েক তেলেগু সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। তিনিও অভিনয়ের পাশাপাশি সেক্স নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতেন।
সর্বাণী: সর্বাণী তেলেগু টেলিভিশন অভিনেত্রী। সেক্স নেটওয়ার্ক পরিচালনার অভিযোগে মাধাপুরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় এ অভিনেত্রীকে।
আইশ আনসারি: তামিল সিনেমার নামকরা আইটেম গার্ল আইশ আনসারি। তাকে যোধপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। সারা ভারতের বিভিন্ন নামজাদা শহরেই নিজের ‘সার্ভিস’ দিয়ে বেড়াতেন আইশ।
মিষ্টি মুখোপাধ্যায়: এই বাঙালি অভিনেত্রী মুম্বাইয়ে ‘ম্যায় কৃষ্ণা হুঁ’, কিংবা ‘লাইফ কি তো লগ গই’-এর মতো কিছু অসফল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ২০১৪ সালে পুলিশ তাকে তার ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ ছিল, মিষ্টি তার দাদা ও বাবার সঙ্গে মিলে নিজের ফ্ল্যাটে পর্ন ফিল্ম বানাচ্ছেন।
ভুবনেশ্বরী: দক্ষিণ ভারতের সফট পর্ন ছবির নামকরা নায়িকা। চেন্নাই থেকে পুলিশ তাকে যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করে।
আইশ আনসারি: তামিল সিনেমার নামকরা আইটেম গার্ল আইশ আনসারি। তাকে যোধপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। সারা ভারতের বিভিন্ন নামজাদা শহরেই নিজের ‘সার্ভিস’ দিয়ে বেড়াতেন আইশ।
শ্বেতা প্রসাদ: ‘মকড়ি’ সিনেমায় শিশু চরিত্রে অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেছিলেন শ্বেতা প্রসাদ। পরে দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় শুরু করেছিলেন। বানজারা হিলসের পার্ক হোটেলে যখন হায়দরাবাদ পুলিশ রেড করে তখন মধুচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শ্বেতাও গ্রেপ্তার হন।
সুকন্যা: দক্ষিণী সিনেমার নামজাদা অভিনেত্রী। তেলেগু, তামিল, মালায়ালাম, কন্নড় ভাষার সিনেমায় অনেকদিন থেকেই অভিনয় করছেন তিনি। চেন্নাইয়ের একটা বিলাসবহুল হোটেলে সেক্স নেটওয়ার্ক চালানোর অভিযোগে তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।