যৌন ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় মেয়েকে অ্যাসিড

প্রকাশ : ১১ মে ২০১৭, ০০:৫৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

বাবা মানিক চন্দ্র পেশায় নারী পাচারকারী। অল্প বয়সী মেয়েদের ভুল বুঝিয়ে বিয়ে করে বিক্রি করে দিত আলিগড়, আগ্রা ও দিল্লির যৌনপল্লিতে।

কিন্তু বাবার এই কাজ মোটেও খুশি নয় মেয়ে খুশবু দেবী। এই কাজের প্রতিবাদ জানান সে। আর এ কারণে খেপে যায় মানিক। ঝাল ঝাড়তে অ্যাসিড ছুড়ে মারে মেয়ের গায়ে এতে মুখ, কাঁধ ও দুই হাত ঝলসে গেছে খুশবুর। ঘটনায় মানিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মথুরায়। 

১০ মে (বুধবার) ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৩০ এপ্রিল রাতে খুশবু (২০) তার স্বামী বিনোদ কুমার (২৬) ও মেয়ে তৃষাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ সময় বাবা মানিক (৪০) অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। এতে খুশবুর শরীরের ৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। আর স্বামী বিনোদ ও মেয়ে তৃষার শরীর সামান্য ঝলসে গেছে।

খুশবু বলেন, ‘বাবার সব অপকর্ম আমি জানতাম, এ কারণেই তিনি অ্যাসিড ছুড়েছেন। অনেক মেয়েকে তিনি যৌনপল্লিতে বিক্রি করেছেন। এ ঘটনা বেড়েই চলেছে। বহু বছর ধরে তিনি অল্প দামে মেয়েদের কিনে চড়া দামে বিক্রি করেন। তার ধারণা ছিল, বিষয়গুলো আমি গোপন রাখব। পরে তিনি ভেবেছিলেন, আমাকে মেরে ফেললেই তিনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। তিনি খুব খারাপ মানুষ।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে মেয়ে খুশবুকে কয়েকবার বিক্রি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন মানিক। একবার ১২ বছর বয়সে খুশবুকে এক জায়গায় রেখে আসেন বাবা। খুশবু জানতে পারেন, সেখানে মেয়েদের ধর্ষণ করা হয়। পরে কোনো রকমে সেখান থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি।

খুশবু বলেন, ‘ আমি সাসনি পুলিশের কাছে বাল্যবিবাহ ও যৌন ব্যবসার অভিযোগে এফআইআর করি। কিন্তু পুলিশ বাবাকে গ্রেপ্তার করেনি। পরে বাবা আমাকে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেন। তার কথা না মানায় বাড়িতে এসে আমার ওপর অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। অ্যাসিড চোখে লাগায় আমি এখন কিছুই দেখতে পারছি না।’ 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত