যুক্তরাজ্য নির্বাচনে লড়বেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩ কন্যা
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০১৭, ০০:২৪
আগামি জুনে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন ব্রিটিশ এমপি। তারা হলেন- বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, রূপা হক ও রুশনারা আলী।
২০১৫ সালের নির্বাচনের এই তিনজনই জয়ী হন। তারা লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
লন্ডনে জন্ম নেওয়া টিউলিপ ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে হ্যাম্পসটেড ও কিলবার্ন আসনে ১ হাজার ১৩৮ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে টিউলিপ বলেন, হ্যাম্পসটেড ও কিলবার্ন এলাকার সবার জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে চাই।
টিউলিপ বলেন, আমার কাজের কেন্দ্রবিন্দুতে সব সময় স্থানীয়রাই ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্বে আমি সরাসরি ডেভিড ক্যামেরন ও থেরেসা মে-কে চ্যালেঞ্জ করেছি। যদিও অনেকেই পার্লামেন্টে পেছনে সারিতে বসে থাকতেন। জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে চুক্তি, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লোকবল ছাঁটাই, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাগরিকদের নিরাপত্তা, নারীদের সমানাধিকার ও অন্যান্য স্থানীয় বিষয় সামনে তুলে ধরেছি।
চলতি বছরের শুরুতে পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট বিলের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন টিউলিপ। এ কারণে তিনি লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
গত নির্বাচনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর স্বল্প ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন লন্ডনের ইয়ালিং সেন্ট্রাল ও অ্যাকটনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রূপা হক। এবারও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন।
বেথানাল গ্রিন ও বো থেকে নির্বাচিত হওয়া রুশনারা আলী রয়েছেন সবচেয়ে ভালো অবস্থানে। গত নির্বাচনে লেবার এমপি হিসেবে তিনি জিতেছিলেন ২৪ হাজার ৩১৭ ভোটে। এবারও তিনি নির্বাচিত হতে পারেন সহজ ব্যবধানে। বর্তমানে ছায়া মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালনরত রুশনারা আলী ২০১০ সালেও এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন ব্যবধান ছিল ১১ হাজার ৫৭৪ ভোট। ২০১৫ সালের নির্বাচনে দ্বিগুণ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন।
জুনের আগাম নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাজ্য ও স্থানীয় মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাস্তব ও তথ্যভিত্তিক বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছেন রুশনারা আলী। স্কুল ও জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার (এনএইচএস) জন্য সুষ্ঠু তহবিল, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ভোটারদের এলাকা টাওয়ার হ্যামলেটসে সামাজিক ও সাশ্রয়ী আবাসন সুবিধা বৃদ্ধি, তরুণদের কর্মসংস্থান ও সুযোগ এবং অবসরপ্রাপ্তদের নিরাপত্তার ওপর তিনি নির্বাচনি প্রচারণায় গুরুত্ব দেবেন।