অস্ট্রেলিয়ায় দানবীয় ঘূর্ণিঝড় ডেবি আক্রমণ
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০১৭, ১১:০৩
অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপগুলোতে ঘণ্টায় ২৬৩ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ডেবি আঘাত হেনেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদন জানানো হয়, কুইন্সল্যান্ডের অগ্রসর হওয়া ক্যাটাগরি চার মাত্রার এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের স্থানীয় সময় ২৮ মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুর নাগাদ অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে পারে।
২৮ মার্চ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে ঝড়ো বাতাস আর প্রবল বৃষ্টির মধ্যে উত্তর-পূর্ব উপকূলবর্তী দ্বীপগুলোর অন্তত ২০ হাজার বাড়ি এরই মধ্যে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্যও আসতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
২০১১ তে কুইন্সল্যাণ্ডে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসির তাণ্ডবের পর এটাই ওই অঞ্চলে আসা সবচেয়ে শক্তিশালী সাইক্লোন বলে আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ২৫ হাজার মানুষকে উপকূলীয় এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের চোখ (কেন্দ্র) ইতোমধ্যে হুইটসানডে দ্বীপপুঞ্জে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সেখানে ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল রেখা অতিক্রম করে কুইন্সল্যান্ডের টাউনসভিল থেকে প্রোসারপাইন এলাকার মধ্যে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া ব্যুরো।
শার্লি নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বাতাস এতোটাই শক্তিশালী যে মনে হচ্ছে বাঁ দিক থেকে ট্রেন ছুটে যাচ্ছে ডান দিকে। গাছগুলো ক্রমাগত এদিক-ওদিক ঝঁকি খাচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ডেবি আঘাত হানার সময় দুই মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলের নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। সেই সঙ্গে থাকতে পারে ভারি বৃষ্টি।
স্থানীয় বাসিন্দারা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শুকনো খাবার ও জরুরি সামগ্রী মজুদ করতে শুরু করায় সুপার মার্কেটগুলো প্রায় খালি হয়ে গেছে। কুইন্সল্যান্ড কর্তৃপক্ষ ১০২টি স্কুল, ৮১টি শিশু নিকেতন এবং দুটি বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।