১৬ ডিসেম্বরে শোক দিবস পালনে পাকিস্তান

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:৪৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

৪৫ বছর আগের পরাজয়ের লজ্জা ভুলে শোক পালন করছে পাকিস্তান৷ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সামনে নতজানু হয়েছিল পাকিস্তানি সেনা৷ দু বছর আগে পর্যন্ত দিনটি সেদেশের কাছে লজ্জার দিন ছিল৷ পাক সামরিক কর্তারা পরাজয়ের গ্লানি নিয়েই দিনটা কাটিয়ে দিতেন৷

২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর৷  ভয়ঙ্কর জঙ্গি হানা হয় পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে৷ জঙ্গিদের গুলিতে ১৩২ জন ক্ষুদে পড়ুয়ার মৃত্যুতে নড়ে গিয়েছিল দুনিয়া৷ সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে ৭ জঙ্গিসহ মোট ১৪৮ জনের মৃত্যুর সাক্ষী আর্মি পাবলিক স্কুল৷

নাশকতার সেই মুহূর্তকে স্মরণ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) পাকিস্তানে কালো দিন পালিত হচ্ছে৷ শোক জানিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেন, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, সেনাপ্রধান জে. কামার বাজওয়া৷ পেশোয়ার জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি৷ চাপা আতঙ্ক৷ আর্মি পাবলিক স্কুলের সামনে নিহত পড়ুয়াদের আত্মীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন৷ শোক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে তাঁরা৷

আর্মি স্কুলের ভেতর ১৬ ডিসেম্বরের নাশকতার বহু চিহ্ন মুছে দেওয়া হয়েছে৷ তবে সেদিন বেঁচে যাওয়া পড়ুয়াদের মনে এখনও টাটকা সেই ভয়াবহ মুহূর্তগুলি৷ প্রিয় বন্ধুর মৃতদেহের আড়ালেই অনেকে লুকিয়ে বেঁচেছিল৷ রক্তাক্ত সেই ঘটনার পরই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ দমন কর্মসূচি নিয়ে বিশ্বজোড়া সমালোচনা শুরু হয়৷ পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে জঙ্গি হামলা পাকিস্তানের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা মর্মান্তিক ঘটনার একটি৷

আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী পেশোয়ার বরাবরই জঙ্গি নাশকতার শিকার হয়৷ আর্মি স্কুলে হামলার পরেও রক্তাক্ত হয়েছে পাকিস্তান৷ প্রতিক্ষেত্রেই সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ প্রত্যেকের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় তা জানিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার৷ নাশকতা মোকাবিলায় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ ক্ষুদে পড়ুয়ারও অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে৷

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ের গ্লানি নিয়েই সন্ত্রাসবাদকে আঁকড়ে ধরেছিল পাকিস্তান৷ অপরদিকে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছিল।  

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত