ট্রাম্প-এর বিরুদ্ধে মার্কিন তারকারা
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:১৫
নির্বাচনে জয়লাভের দু’দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রব্যাপি শুরু হয়েছে ‘ট্রাম্প বিরোধি’ আন্দোলন। সাধারণ জনগণের সাথে এতে যোগ দিয়েছেন মার্কিন তারকারাও। এর মধ্যে রয়েছেন সংগীতশিল্পী লেডি গাগা, পপ সম্রাজ্ঞী ম্যাডোনা ও হলিউড অভিনেতা মার্ক রুফালোর মতো তারকারা।
ট্রাম্পের প্রতি ক্ষোভের কথা টুইট করছেন হলিউড তারকারা।
‘গেইম অব থ্রোন্স’-এর রচয়িতা আর.আর. মার্টিন ট্রাম্পকে ‘নিকৃষ্টতম’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে উল্লেখ করে লিখেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রেসিডেন্ট হিসেবে গণ্য হবেন। আপনারা অপেক্ষা করুন। জানুয়ারিতেই আমার কথার প্রমাণ পাবেন”।
১০ নভেম্বর টুইটারে ট্রাম্প বিরোধি আন্দোলনকে সাধুবাদ জানিয়ে অভিনেতা মার্ক রুফালো লিখেছেন, “এভাবেই আমরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জানিয়ে যাবো। ট্রাম্পকে যারা ঘৃণা করেন তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা রইলো!”
এ সময় আন্দোলনের একটি ভিডিও শেয়ার করেন এ অভিনেতা। যাতে দেখা যায় ট্রাম্প-বিরোধি আন্দোলনে সশরীরে যোগ দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের জয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন পপ সম্রাজ্ঞী ম্যাডোনাও। টুইট পোস্টে এ বিষয়ে তিনি লিখেছেন, “সময় এসে একত্রিত হয়ে রুখে দাঁড়ানোর। নিউইয়র্ক সিটিতে আজ জ্বলছে বিদ্রোহের আগুন। ট্রাম্প বিরোধী আন্দোলনের প্রতি আমার ভালবাসা রইলো।”
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী লেডি গাগাও সক্রিয়ভাবে শরীক হয়েছেন ট্রাম্প বিরোধি আন্দোলনে। দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, বুধবার সকালে নিউইয়র্ক সিটির ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে গেছে লেডি গাগাকে। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিলো, “ট্রাম্প বিদ্বেষীদের জন্য ভালবাসা।”
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে গাগা লিখেছেন, “আমি একটি মানবতাময় দেশে বসবাস করতে চাই। ট্রাম্প আমাদের মানবতাবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এখন আমাদের নিজেদের ভালোটা নিজেদেরই দেখতে হবে।”
ট্রাম্পকে আমেরিকার জন্য একটি হুমকি হিসেবেই অভিহিত করেছেন এ সংগীত তারকা। তিনি বলেন, "নারীবাদ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ট্রাম্পের মতো একজন লোকে কখনোই বিশ্বাস করা যায় না"।
অভিনেত্রী অ্যালিসা মিলানো লিখেছেন, “ট্রাম্প-বিরোধী আন্দোলনে যারা অংশ নিচ্ছেন তারা সবাই আপনাদের অবস্থানের কথা আরও বেশি করে প্রচার করুন। সারা দেশে ট্রাম্প-বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলুন। তার মতো নোংরা লোককে আমরা আমাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চাই না।”
হলিউড অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস তার ট্যুইটারে আন্দোলনের একটি ভিডিও জুড়ে দিয়ে লিখেছেন, “এটা শুরু হয়ে গেছে। সারা দেশে যে যেখানে আছেন সবাই আন্দোলনে যোগ দিন। শিকাগোতে আমার পরিবারের লোকেরা এতে অংশগ্রহণ করছে। ট্রাম্প-এর প্রতি নিন্দা জানানোর এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর নেই।”