চাইনিজ পণ্য বর্জন করছে ভারতীয়রা

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৬, ১১:৪৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ায় চীনা পণ্য বয়কটের করছে ভারত। আর এতে সাড়াও পড়েছে। দীপাবলির উৎসবকে কেন্দ্র করে ভারতের বাজারে চীনা পণ্যের বিক্রি কমে গেছে। ভারতের বাজারে চীনে তৈরি সস্তা পটকা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, খেলনা, ঘড়ি এবং আরো নানা সামগ্রীর বেচাকেনা সারা বছরই চাঙ্গা থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক বয়কটের রব ওঠায় দিল্লির বাজারে চলতি  মৌসুমে চীনা পণ্যের বিক্রি ২০ শতাংশ কমেছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

এদিকে ভারতে চীনা দূতাবাস বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, চীনা পণ্য বয়কট করলে ভারতেরই ক্ষতি হবে। কারণ তাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ক ধাক্কা খাবে এবং ভারতে চীনা প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগও মার খাবে। কিন্তু চীনের বিরাট ক্ষতি হবে না।

কূটনৈতিকভাবে চীন যেভাবে বারবার পাকিস্তানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ ভারতবাসী। সরকারের তরফে সরাসরি চীনের উদ্দেশে কিছু বলা না হলেও, চীনা দ্রব্য বয়কটের ডাক উঠেছিল সামাজিক গণমাধ্যমে। 

যোগগুরু রাম দেব বলেছেন, চীন যেভাবে ভারতের একতা ও অখণ্ডতা বিপন্ন করার ঘৃণ্য খেলায় মেতেছে তাতে সব ভারতবাসীর উচিত তাদের জিনিস বর্জন করা। আমাদের ঘরে হনুমানজি-রামচন্দ্র-গণেশজির মূর্তিও এখন চীনে তৈরি হয়ে আসে, দিওয়ালির আলোকসজ্জাও চীনই তৈরি করে। এসব জিনিস কেনা বন্ধ করলে তবেই চীনকে বাগে আনা যাবে।

পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন প্রদেশের ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসসহ সামাজিক মাধ্যমে চীনা পণ্য বয়কটের ক্যাম্পেইন চলছে। কারণ ভারতীয়দের একাংশ মনে করছেন চীন যেভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে চীনা পণ্য বয়কট করাই তাদের শাস্তি দেওয়ার একমাত্র পথ। ভারত সরকার অবশ্য এই বয়কটের ডাককে প্রকাশ্যে সমর্থন করেনি।

চীন-ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রায় ২ হাজার বছরের পুরোন। আধুনিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক– সেটাও শুরু হয়েছে ১৯৫০ সালের দিকে। দুটি দেশই বিশ্বের বৃহত্ জনশক্তি। সেইসঙ্গে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের তালিকায়ও রয়েছে ভারত-চীন। দুদেশের মধ্যে গড়ে ওঠা ‘সিল্ক রুট’ শুধু বাণিজ্য সম্পর্কই নয়, পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গেও যুক্ত করেছে ভারতকে। যে কোনো দেশের পণ্য রফতানির জন্য ভারত একটি আকর্ষণীয় বাজার। বর্তমান সময়ে চীনের সঙ্গে ৫২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারত চীনের বাজারে অশুল্ক বাধা কমাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত