হিলারির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মাদকের অভিযোগ
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:২০
একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগে কোণঠাসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে মাদক নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্পের অভিযোগ, দ্বিতীয় বিতর্কে হিলারি মঞ্চে উঠেছিলেন মাদক নিয়ে। তৃতীয় বিতর্কের আগে দুজনেরই মাদক পরীক্ষার দাবি তুলেছেন তিনি।
হ্যাম্পশায়ারের সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, "গত ১০ অক্টোবর দ্বিতীয় মুখোমুখি বিতর্কের শুরুতে হিলারিকে দারুণ উজ্জীবিত দেখাচ্ছিল। কিন্তু শেষে মনে হচ্ছিল, উনি বোধ হয় নিজের গাড়ি পর্যন্তই যেতে পারবেন না। আমাদের ড্রাগ টেস্ট হওয়া উচিৎ”।
অবশ্য যে অভিযোগ তিনি তুলেছেন, তার কোনো প্রমাণ হাজির করেননি এই রিপাবলিকান প্রার্থী।
হিলারি শিবির অবশ্য ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে দেখছে ভোটে হারার ভয় থেকে তার ‘নির্লজ্জ মন্তব্য’ হিসেবে।
শনিবার নিউ হ্যাম্পশায়ারের ঐ সমাবেশে নির্বাচনে কারচুপির গন্ধ পাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। তবে ট্রাম্প কারচুপির গন্ধ পেলেও তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ান বলেছেন, আসছে ৮ নভেম্বরের নির্বাচন যে সুষ্ঠুভাবেই হবে, এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর ওয়াশিংটন পোস্ট ২০০৫ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে এনবিসি টিভির উপস্থাপক বিলি বাশের একটি কথোপকথন ফাঁস করে। ওই অডিও টেপে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, তুমি যদি তারকা হও, তবে ‘মেয়েদের নিয়ে যা কিছু করতে পার’। কথোপকথনে বিবাহিত এক অভিনেত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে উদগ্র আগ্রহের কথাও বলতে শোনা যায় ট্রাম্পকে।
ওই টেপ ফাঁস হওয়ার পরই পল রায়ান জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি আর ট্রাম্পের পক্ষে বলবেন না। তার মতই একডজনেরও বেশি রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন।
দ্বিতীয় বিতর্কে ফাঁস হওয়া ওই টেপকে ‘লকার রুমের কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এরপর এক নারী ১৩ বছর বয়সে ধনকুবের ট্রাম্পের ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগে মামলা করে দেন। বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্পের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন অন্তত পাঁচ নারী।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন এক সময়ে ট্রাম্প এই অভিযোগ তুললেন, যখন একের পর এক নারী বিভিন্ন সময়ে তাদের সাথে হওয়া যৌন অসদাচরণের ঘটনা নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন।
সর্বশেষ মতামত জরিপে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে দুর্বল হতে শুরু করেছে ট্রাম্পের অবস্থান।
তবে ট্রাম্প বরাব্রই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তার দাবি, ওই নারীদের সঙ্গে তার ‘কিছুই হয়নি’ এবং নারীর প্রতি তার চেয়ে বেশি সম্মান আর কেউ দেখাতে পারবে না।