হিলারিকে জেলে পাঠানোর হুমকি ট্রাম্পের
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০১৬, ১২:৪২
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১০ অক্টোবর) সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় বিতর্কের শুরুর দিকেই হিলারিকে এ হুমকি দেন ট্রাম্প।
এদিন দ্বিতীয় বিতর্কে অনেকটা আক্রমণাত্মক ও উগ্র ছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প। সকাল সোয়া ৭টায় মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
বিতর্কে প্রার্থীদের দেশের ভবিষ্যত নিয়ে নিজস্ব লক্ষ্য উপস্থাপনের নিয়ম থাকলেও তার ধার ধারেননি ট্রাম্প। বরং হিলারিকে অশালীনভাবে আক্রমণেই ব্যস্ত ছিলেন বিতর্কিত এই নেতা।
বিতর্কে হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল কেলেঙ্কারি বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি এ ঘটনা তদন্তে বিশেষ প্রসিকিউটর নিয়োগ দেবেন। তিনি ক্ষমতায় থাকলে হিলারিকে এ জন্য কারাগারে যেতে হবে বলেও হুমকি দেন ট্রাম্প।
জবাবে হিলারি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তবে ওই মেইল ক্ষতিকর কারো হাতে পড়েনি। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ২০০৫ সালের এক ভিডিওতে নারীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের জন্য ট্রাম্পকে ক্ষমা চাইতে বলেন হিলারি।
তবে এটা অগ্রাহ্য করে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন ট্রাম্প। তিনি ওই ঘটনা অস্বীকার করে এটাকে ‘লকার রুমের কথা’ বলে নারীদের প্রতি তার শ্রদ্ধা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প এ সময় হিলারির স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময় নারী কেলেঙ্কালির প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন। এ সময় বিল ক্লিনটন ও তার মেয়ে দর্শকসারিতে বসে ছিলেন।
দেশবাসীকে ওই ভিডিও সম্পর্কে সর্তক করে হিলারি বলেন, এটাই ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দেশকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, আমরা যা এটা তা নয়।
বিতর্কে রাশিয়া প্রসঙ্গে হিলারি বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে রাশিয়া তাদের তথ্য হ্যাক করছে। তবে ট্রাম্প বলেন, তিনি পুতিনকে চেনেন না এবং রাশিয়া সম্পর্কে কিছু জানেন না।
যুক্তি উপস্থাপন ও ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনার পরিকল্পনা উপস্থাপনে দ্বিতীয় বিতর্কেও ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন সাবেক ফাস্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন।
দ্বিতীয় এ বিতর্কে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেস এবিসি টেলিভিশনের মার্থা রাডাৎস ও সিএনএনের অ্যান্ডারসন কুপার।